Saturday, June 28, 2025

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৯৭৬ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদিত

শনিবার (২৮ জুন) শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৯৭তম সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৯৭৬ কোটি ১১ লাখ ৫ হাজার টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ছিল ৮০০ কোটি ৯৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, যা এ বছর ১৭৫ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১২৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার। তিনি জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ খাতে মোট ৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে গবেষণায় ৩৭ কোটি ১০ লাখ এবং প্রশিক্ষণে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। এছাড়া চিকিৎসা ও শৈল্য খাতে (এমএসআর) ৮৭ কোটি টাকা, মেধাবৃত্তি খাতে ২১৭ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, পূর্ত সংরক্ষণে ৯ কোটি টাকা, পণ্য সেবায় ২৫ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যন্ত্রাংশ (মূলধন) উপখাতে ৪০ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খাতে ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বেতন বাবদ ২৩৩ কোটি ২৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা, ভাতাদি বাবদ ১৯০ কোটি ২৭ লাখ টাকা এবং পেনশন মঞ্জুরি খাতে ৪৫ কোটি ১৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আয়ের উৎস হিসেবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ৫৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় (বিশ্ববিদ্যালয় μঞ্জুরি কমিশন) থেকে ১৪৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ১৩৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
সিন্ডিকেট সভার পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম উন্নয়নে চীনের কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। এছাড়া ৮১ জন শিক্ষক ও ৫৪৯ জন ছাত্রছাত্রীকে গবেষণার জন্য গ্র্যান্ট প্রদান করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়ন ও ক্রয় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে ৪৩৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের জন্য বরাদ্দ ১২ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তি, ইনফেকশন কন্ট্রোল এবং বইপত্র ও সাময়িকী খাতেও বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদারসহ সিন্ডিকেটের বিশিষ্ট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.