Wednesday, May 14, 2025

৬ ঘণ্টা শাহবাগ অবরুদ্ধ, জনগণের ক্ষোভ: ‘সরকার কেন নির্বিকার?’

ঢাকা, ১৪ মে ২০২৫: ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক সমমানের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে বুধবার দুপুর থেকে রাজধানীর ব্যস্ততম শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন নার্সিং শিক্ষার্থীরা। 

টানা ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই অবরোধে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে। অনেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান এবং সরকারের নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করেন।

দুপুর ২:১০ টার দিকে শুরু হওয়া অবরোধের ফলে শাহবাগ, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, সায়েন্সল্যাব, রমনা ও কারওয়ান বাজার পর্যন্ত যানজট ছড়িয়ে পড়ে। অ্যাম্বুলেন্স, স্কুলবাস ও অফিসগামী গাড়ি দীর্ঘ সময় আটকে থাকে। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। কিছু মোটরসাইকেল চালক ব্যারিকেড উপেক্ষা করে মোড় পার হন এবং শিক্ষার্থীদের ভর্ৎসনা করেন।
মগবাজার থেকে ফেরত সরকারি কর্মচারী হাফিজুর রহমান বলেন, “শাহবাগে আন্দোলন এখন প্রতিদিনের রুটিন। মানুষের দাবি থাকতে পারে, কিন্তু হাজার হাজার মানুষকে জিম্মি করা কি সমাধান? সরকারের নির্বিকার ভূমিকা হতাশাজনক।” সন্ধ্যায় ১০-১৫ জন মোটরসাইকেল চালক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। তারা বলেন, “রাস্তায় বসে সমাধান আসবে না। জনগণকে জিম্মি করে আন্দোলন কখনো সফল হয় না।”
দিনভর আন্দোলনে ক্লান্ত ও উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃষ্টি, গরম ও ক্ষুধার প্রভাব দেখা যায়। শিক্ষার্থী আরিফ আহমেদ বলেন, “দুপুর থেকে কিছু খাইনি। এখানে বসে থাকাও কষ্টকর। আমরা জানি মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, আমরাও এটা চাই না। কিন্তু আমাদের আর পিছু হটার পথ নেই।”
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, এইচএসসি পাসের পর ১১০ ক্রেডিটের তিন বছর ছয় মাস মেয়াদি ‘ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি’ ও ‘ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি’ কোর্সের জন্য ডিগ্রির সমমান দেওয়া হয় না। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বছর মেয়াদি ডিগ্রি কোর্সের শিক্ষার্থীরা স্বীকৃতি পান, যা বৈষম্য সৃষ্টি করছে। শিক্ষার্থী রাফিয়া চৌধুরী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই দাবিতে আন্দোলন করছি। সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”
সকালে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন এবং শাহবাগের দিকে মিছিল শুরু করেন। শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে তারা মোড় দখল করেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করলে যান চলাচল শুরু হয়।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.