Friday, May 9, 2025

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় জনতার ঢল, চলছে উত্তাল বিক্ষোভ

ঢাকা, ৯ মে ২০২৫ : আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং এর নেতাদের বিচারের দাবিতে রাজধানী ঢাকার রাজপথে জনতার ঢল নেমেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত সমাবেশে শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট-বড় মিছিল ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এসে জড়ো হয়। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশ ও বিক্ষোভ উত্তাল হয়ে ওঠে। এছাড়া, অর্ধশতাধিক মানুষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন।

জুমার নামাজের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে সমবেত হতে শুরু করেন। সময়ের সাথে সাথে মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। সমাবেশে ‘আওয়ামী লীগ নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ‘নিষিদ্ধ করতে হবে, আওয়ামী লীগ’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয় এলাকা।
সমাবেশে অংশ নেওয়া মানুষ বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি গণহত্যাকারী দল। তারা দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং তাদের দুঃশাসনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। আমরা তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
বিক্ষোভ কর্মসূচি গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে শুরু হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিন্টু রোডের পানির ফোয়ারার সামনে বৃহৎ জমায়েতের ডাক দেন। তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
মিছিল ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। তবে, কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এই বিক্ষোভ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জনরোষ এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবিকে আরও জোরালো করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠীর সমর্থনে এই আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মোড় নিতে পারে।

এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.