Friday, May 23, 2025

ছাত্রনেতাদের রাজনৈতিক বাগবিতণ্ডা এড়িয়ে চলার পরামর্শ মামুনুল হকের

ঢাকা, ২৩ মে ২০২৫ : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ছাত্রনেতাদের রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে অযথা বাগবিতণ্ডায় না জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। শুক্রবার (২৩ মে) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে ছাত্রনেতাদের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এ দেশের মানুষ হাজার বছর মনে রাখবে। তাই তোমরা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন কর।”

তিনি বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও সংস্কারের কোনো রূপরেখা এখনো দৃশ্যমান নয়। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “অনতিবিলম্বে সংবিধান, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। নির্বাচনের আগে বিদায়ী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”
মামুনুল হক বলেন, “ইউনূস সাহেব জাতির অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছেন। ব্যক্তিগত মান-অভিমান ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্নকে ম্লান করতে পারে না। শহীদের রক্তের দাগ এখনো মোছেনি। এখন ক্ষমতার জন্য হানাহানি সমীচীন নয়।” তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে আল্টিমেটাম বা সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরিবর্তে সহনশীল অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি দুর্বৃত্তায়িত নির্বাচন ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, এই ব্যবস্থায় ভালো মানুষের সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি মব-চালিত দাবি আদায়ের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেন, এটি দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে। তিনি বিগত সরকারের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এবং জুলাই-আগস্টের চেতনাকে শানিত করে ঐক্যের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান জানান।
মামুনুল হক আরও বলেন, নারীদের উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকার নিশ্চিত করতে হেফাজতে ইসলাম সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলবে। সমাবেশ শেষে পল্টন থেকে বিজয়নগর পানির টাংকি এলাকায় একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলামের অন্য নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

এ.আই /এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.