Friday, May 23, 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অ্যাম্বুলেন্স আটকে ডাকাতি, মরদেহেও ছুরিকাঘাত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৩ মে ২০২৫ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুধু ডাকাতিই নয়, দুর্বৃত্তরা মৃত ব্যক্তির মরদেহেও ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে, যা পরিবারের শোককে আরও গভীর করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১টার দিকে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের তিলপাড়া এলাকায়। পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্যমতে, পূর্বভাগ ইউনিয়নের মুকবুলপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সী ক্যানসার আক্রান্ত ছবদর আলী বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মিরপুর আহসানিয়া ক্যানসার হাসপাতালে মারা যান। পরিবারের সদস্যরা গভীর রাতে অ্যাম্বুলেন্সে তার মরদেহ নিয়ে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে তিলপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ১০–১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল সড়কে গাছ ফেলে অ্যাম্বুলেন্সটি আটকায়।
ডাকাতরা প্রথমে গাড়ি ভাঙচুর করে, তারপর মরদেহের সঙ্গে থাকা নারীসহ ৯ জনকে পিটিয়ে আহত করে। তারা প্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং ১০টি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। এমনকি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মৃত ছবদর আলীর মরদেহেও আঘাত করে, যা স্বজনদের মনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।
নিহতের ছেলে ও পূর্বভাগ ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলমগীর মিয়া বলেন, “টাকা-পয়সা নিয়ে যাওয়াটা সহ্য করতে পারতাম। কিন্তু আমার মৃত বাবার দেহেও আঘাত করেছে ওরা। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।”
ভুক্তভোগী আজহারুল ইসলাম দুর্জয় বলেন, “এই রাস্তাটা এখন খুবই অনিরাপদ। ঢাকায় নিরাপদে যাওয়া যায়, কিন্তু নাসিরনগর থেকে গ্রামে ফেরার সময়ই সবচেয়ে ঝুঁকি। কবে মুক্তি পাবে আমরা পূর্বাঞ্চলের মানুষ?”
স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনজীবী রেজাউল হক আমজাদ বলেন, “এটা কেবল ডাকাতি নয়, নির্মমতাও। মৃতদেহে হামলা হয়েছে! আর ঘটনাস্থল থানার মাত্র এক কিলোমিটার দূরে। পুলিশের টহল টিম কোথায় ছিল?”
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলটি অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। আগেও এখানে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি।”
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.