Thursday, May 8, 2025

শিরোনাম: মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামানো সম্ভব: গভর্নর

ঢাকা, ৮ মে, ২০২৫ : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ও নীতি অব্যাহত থাকলে মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনা সম্ভব। বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত ব্যাংকার-এসএমই নারী উদ্যোক্তা সমাবেশ, পণ্য প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক মো. খসরু পারভেজ, সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা।
গভর্নর মনসুর বলেন, নারী উদ্যোক্তারা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বর্তমানে ব্যাংক খাতে মোট ঋণের মাত্র ৬ শতাংশ নারীদের জন্য বরাদ্দ, যা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি ব্যাংকিং সেবাকে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আরও সহজলভ্য করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেন, নারীদের জন্য ঋণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে নয়, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব তহবিল থেকে অধিকার বিবেচনায় বরাদ্দ করতে হবে।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪.৫ শতাংশ থেকে ৮.৫ শতাংশে এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশের কিছু বেশি হয়েছে। তিনি আশাবাদী, সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশে নামানো সম্ভব।
সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই কার্যক্রম বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ব্যাংক নির্বাহীদের প্রতি আহ্বান জানান।
১১ মে পর্যন্ত চলা এ চার দিনব্যাপী মেলায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৬৮ জন নারী উদ্যোক্তা তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন। মেলার সমাপনী দিনে ৬ জন সফল নারী উদ্যোক্তাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা আয়োজিত হলেও করোনা মহামারিসহ অন্যান্য কারণে গত চার বছর বন্ধ ছিল। চার বছর পর এ আয়োজন অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে।

এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.