এটি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি আপনার জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি করছি যা এই সমস্যার গভীরতা
সম্প্রতি রাশিয়ায় কাজ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে প্রতারণার মাধ্যমে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। তাদের ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে, যা মানবপাচারের একটি ভয়াবহ উদাহরণ।
২২ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইয়াসিন শেখের মৃত্যুর পর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তার পরিবার জানায়, তাকে রাশিয়ায় একটি চীনা কোম্পানিতে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে তাকে রুশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হয়। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে তার মরদেহ ফেরত আনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ আকরাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, তাকে এবং তার ভগ্নিপতিকে সাইপ্রাসে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের রুশ ভাষায় একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়। আকরাম পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তার ভগ্নিপতি এখনো রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রাশিয়ায় মানবপাচারের অভিযোগে একটি নারীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ছয়টি মামলা দায়ের করেছে। সিআইডি জানিয়েছে, পাচারকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মস্কোতে বাংলাদেশের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, তারা বেশ কয়েকটি পরিবারের কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন যারা তাদের আত্মীয়দের ব্যাপারে তথ্য জানতে চেয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে কিছু বাংলাদেশি রুশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত হয়েছেন, তবে তাদের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত নন।
এ আই/এম.আর