Friday, October 17, 2025

জুলাই যোদ্ধাদের নতুন কর্মসূচি: সংসদে সংঘর্ষের পর মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা


ঢাকা, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ – জাতীয় সংসদ ভবনে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার সময় জুলাই যোদ্ধাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ প্লাজায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকারীরা তাদের তিন দফা দাবির বাস্তবায়ন এবং হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই যোদ্ধা সংসদের মুখ্য সংগঠক মাসুদ রানা সৌরভ এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আগামী রবিবার (১৯ অক্টোবর) দেশের প্রতিটি জেলায় দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করা হবে।সৌরভ বলেন, “আমরা হামলার শিকার হয়েছি। এই অবরোধ আমাদের ওপর হওয়া হামলার প্রতিবাদ এবং তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য। জুলাই আহতদের সঙ্গে সাধারণ জনগণকে যোগ দিতে আহ্বান জানাচ্ছি। যদি আমাদের জীবন ও রক্তের স্বীকৃতি না পাই, তাহলে এ রাষ্ট্রে আর কোনো বিপ্লবী জন্ম নেবে না।”তিন দফা দাবি:
  • জুলাই শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান।
  • আহত ও পঙ্গুত্বগ্রস্তদের ‘বীর’ মর্যাদা দিয়ে সাংবিধানিক স্বীকৃতি।
  • আহত ও শহীদ পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা এবং আহতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত হামলা-হয়রানি বন্ধ রাখার জন্য দায়মুক্তি ও সুরক্ষা আইনের ব্যবস্থা।
ঘটনার সারাংশ:শুক্রবার সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অসংখ্য আন্দোলনকারী সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে তারা গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে মঞ্চের সামনের অতিথিদের চেয়ারে বসে প্রতিবাদ চালান।দুপুর ১:২৬ মিনিটের দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধাওয়া দিয়ে বের করে দেয় এবং সমগ্র সংসদ এলাকা ঘিরে রাখে। আহত যোদ্ধারা মঞ্চ থেকে সরানোর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে—তারা বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। পুলিশ ও এবিপিএন সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের তাড়া করেন। দুপুর ২টার পরও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে।এই ঘটনায় কোনো রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে সই করেনি, যা আন্দোলনের আরও একটি দিক তুলে ধরেছে। জুলাই যোদ্ধারা জানিয়েছে, দাবি না মানলে আন্দোলন তীব্রতর হবে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.