Wednesday, September 3, 2025

যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ভারতের অবিচল থাকা প্রশংসার যোগ্য : রাশিয়া

রুশ জ্বালানি তেল ক্রয়কে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও অবিচল থাকায় ভারতের প্রশংসা করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ভারত মুক্ত বাণিজ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের সময়ে নয়াদিল্লি তা প্রমাণ করেছে।

মঙ্গলবার ইন্দোনেশীয় সংবাদমাধ্যম কম্পাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রাখা সব দেশের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছেন। উদাহরণ হিসেবে আমরা ভারতের কথা বলতে পারি। আমাদের দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক মিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার ভারতের ওপর অতি উচ্চমাত্রার রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “কিন্তু ভারত এই চাপের কাছে নত হয়নি এবং মুক্ত বাণিজ্যনীতির প্রতি অবিচল থেকেছে। এটি সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। এক সময় মুক্ত বাণিজ্য নীতির সবচেয়ে বড় সমর্থক ছিল রাশিয়া, এখন তারাই এই নীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।” গত আগস্ট থেকে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, যার প্রধান কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের ওপর অতি উচ্চমাত্রার রপ্তানি শুল্ক আরোপ। ২০২৪ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে জয়ের পর ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। তখন মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ছিল ১৫ শতাংশ। গত এপ্রিলে এই শুল্ক ২৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার কারণে আগস্টের শুরুতে ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প, যার ফলে মোট শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। ২৭ আগস্ট থেকে এই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হয়েছে, যার প্রভাব ইতোমধ্যে ভারতের অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করেছে।
ধারণা করা হয়েছিল যে, শুল্ক আরোপের পর ভারত ওয়াশিংটনের সঙ্গে দরকষাকষি করে তা কমানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, দেশের গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে তার সরকার রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত রাখবে

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.