নাসার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ কিউডি৮ গ্রহাণুটির আকার প্রায় ৩৮ মিটার বা ১২৪ ফুট। আজ রাতে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে, মাত্র ২ লাখ ১৮ হাজার ৯ কিলোমিটার দূরত্বে থাকবে। এই দূরত্ব পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যেকার দূরত্বের অর্ধেকেরও কম। এর আকার ও গতির কারণে এটি বিপুল ধ্বংসযজ্ঞের সম্ভাবনা রাখে। পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ হলে এটি কোনো শহরের বড় অংশ ধ্বংস করতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা আশ্বস্ত করে বলেছেন, এটি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো সম্ভাবনা নেই এবং নিরাপদে পাশ দিয়ে চলে যাবে।
গ্রহাণুটি প্রথম শনাক্ত করেন ভার্চ্যুয়াল টেলিস্কোপ প্রজেক্টের একদল শৌখিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তাঁরা ১৭ ইঞ্চি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এর ছবি তুলেছিলেন, যখন এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৯ লাখ কিলোমিটার দূরে ছিল। তাঁদের পর্যবেক্ষণে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, গ্রহাণুটি ১৭ থেকে ৩৮ মিটার চওড়া এবং পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে। এর আকার অনুমান করা হয় পৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত আলোর পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে, তাই সঠিক আকার সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী শ্যাম বালাজি বলেন, এই আকারের গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত করলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
২০১৩ সালে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কে ১৮ মিটার আকারের একটি উল্কা বিস্ফোরিত হয়েছিল। ২০২৫ কিউডি৮ এর চেয়ে বড়, তাই এর ধ্বংস ক্ষমতাও বেশি। বিজ্ঞানী বালাজি বলেন, ১৯০৮ সালের তুঙ্গুস্কা ঘটনায় একটি গ্রহাণু হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার বনভূমি ধ্বংস করেছিল। জনবহুল এলাকায় এমন ঘটনা ঘটলে তা গুরুতর হতে পারে। তবে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। দুঃখজনকভাবে, গ্রহাণুটি খালি চোখে দেখা যাবে না, কারণ এটি বেশ অনুজ্জ্বল। এটি দেখতে শক্তিশালী টেলিস্কোপ প্রয়োজন।
আজ রাতে পৃথিবীর পাশ দিয়ে ছুটে যাবে বিশাল গ্রহাণু, সতর্ক করল নাসা
আজ রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) মহাশূন্য থেকে আগত একটি বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে বলে সতর্ক করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০২৫ কিউডি৮ নামের এই গ্রহাণুটির গতি ঘণ্টায় ৪৫ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। এর আকার ও গতির কারণে নাসা এটিকে সম্ভাব্য "শহর ধ্বংসকারী" বা সিটি কিলার হিসেবে চিহ্নিত করেছে।