Wednesday, September 10, 2025

ইবিতে আন্দোলন ঠেকাতে নতুন নীতি, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সভা-সেমিনার, মানববন্ধনসহ যেকোনো কর্মসূচি পালনের জন্য পূর্বানুমতি নিতে হবে—এমন নির্দেশনা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এই নতুন নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এই সিদ্ধান্তকে প্রহসনমূলক আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ছাত্র-উপদেষ্টা অফিসে তালিকাভুক্ত সংগঠন বা সমিতি বা ক্লাব ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন বা সমিতির নামে ক্যাম্পাসে কোনো সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন বা অন্য কোনো কর্মসূচি পালন করা যাবে না। তালিকাভুক্ত হতে হলে সংগঠনকে উপদেষ্টা পরিষদের তালিকা, গঠনতন্ত্র এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি (উপদেষ্টা পরিষদের স্বাক্ষরসহ) ছাত্র-উপদেষ্টা অফিসে জমা দিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় চিন্তা ও মতপ্রকাশের জায়গা, কোনো সামরিক ক্যাম্প নয় যে আন্দোলন, সভা বা সেমিনার করতে অনুমতি নিতে হবে। কেউ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ দমিয়ে ক্যাম্পাস চালাতে পারবে না। প্রতিবাদ ও সংগঠন করা আমাদের অধিকার। মনে রাখবেন, জুলাই আন্দোলন কিন্তু প্রশাসনের তালিকাভুক্ত কোনো সংগঠনের মাধ্যমে হয়নি।” ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব বলেন, “সামাজিক ও প্রতিবাদী কার্যক্রমে বাধা দেওয়া স্বৈরাচারী আচরণের ইঙ্গিত। এটি প্রশাসনের অদূরদর্শিতার প্রমাণ। কারও কার্যক্রমে বাধা দেওয়া সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে বাধা।” ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, “সভা-সেমিনার যে কেউ করতে পারে। একজন ব্যক্তিও প্রতিবাদের জায়গা পাবে। অনুমতি নিয়ে কখনো আন্দোলন হয় না। প্রশাসনের এই দাবি অযৌক্তিক ও অবান্তর।” ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদ করা শিক্ষার্থীদের অধিকার। আমরা সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে সমর্থন করি।”
ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল ধরেননি এবং খুদে বার্তার জবাবও পাওয়া যায়নি।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.