নিহত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছবি হাতে হুতি সমর্থকদের বিক্ষোভ। ফাইল ছবি: রয়টার্স |
ইসরায়েলের হামলার শিকার হচ্ছেন একের পর এক হামাস নেতা। গতকাল মঙ্গলবারও কাতারের রাজধানী দোহায় সংগঠনটির নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, কাতারে নির্বাসনে থাকা হামাস নেতা খলিল আল–হায়াকে হত্যার উদ্দেশ ছিল তাঁদের। তবে ইসরায়েলের এই হামলায় নিজেদের নেতাদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে হামাস।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তার পর থেকে ২৩ মাসের বেশি সময়ে হামাসের বেশ কয়েকজন বড় নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। চলুন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের পরিচয়—
**ইসমাইল হানিয়া**: ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইরানের রাজধানী তেহরান সফরে গিয়েছিলেন ইসমাইল হানিয়া। তখন বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁকে হত্যা করে ইসরায়েল। ২০১৭ সাল থেকে হামাসের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমস–এর খবর অনুযায়ী, তেহরানে তিনি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সেখানে গোপনে বিস্ফোরক স্থাপন করে রেখেছিলেন ইসরায়েলি গোয়েন্দারা।
**মোহাম্মদ দেইফ**: মোহাম্মদ দেইফ ছিলেন হামাসের সামরিক শাখার কমান্ডার। তাঁকে ৭ অক্টোবর হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে ধারণা করা হয়। দেইফকে সাতবার হত্যার চেষ্টা করেছিল ইসরায়েল। পরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ২০২৪ সালের মার্চে গাজার খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর।
**যাঁরা এখনো বেঁচে আছেন**: প্রথমেই বলতে হবে ইজ আল–দিন আল–হাদাদের কথা। মোহাম্মদ সিনওয়ারের মৃত্যুর পর তিনিই এখন হামাসের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ নেতা। এরপর রয়েছেন খলিল আল–হায়া। বর্তমানে তাঁকে হামাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন খালেদ মেশাল, মোহাম্মদ দারবিশ, নিজার আওয়াদাল্লাহ ও জাহের জাবারিন। এর মধ্যে ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খালেদ মেশাল।