Wednesday, September 10, 2025

ইসরায়েলের একের পর এক হামলায় নিহত হামাসের যেসব শীর্ষ নেতা

নিহত হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের ছবি হাতে হুতি সমর্থকদের বিক্ষোভ। ফাইল ছবি: রয়টার্স


ইসরায়েলের হামলার শিকার হচ্ছেন একের পর এক হামাস নেতা। গতকাল মঙ্গলবারও কাতারের রাজধানী দোহায় সংগঠনটির নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, কাতারে নির্বাসনে থাকা হামাস নেতা খলিল আল–হায়াকে হত্যার উদ্দেশ ছিল তাঁদের। তবে ইসরায়েলের এই হামলায় নিজেদের নেতাদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে হামাস।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। তার পর থেকে ২৩ মাসের বেশি সময়ে হামাসের বেশ কয়েকজন বড় নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। চলুন, একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁদের পরিচয়—

**মোহাম্মদ সিনওয়ার**: মোহাম্মদ সিনওয়ার ছিলেন হামাসের বর্ষীয়ান নেতা। সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান ছিলেন তিনি। গত মে মাসে তাঁকে হত্যা করে ইসরায়েল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলা হয় ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। মোহাম্মদ সিনওয়ার তাঁর ছোট ভাই। ইয়াহিয়ার মৃত্যুর পর হামাসের নেতৃত্বে আসেন মোহাম্মদ সিনওয়ার। **ইয়াহিয়া সিনওয়ার**: ২০২৪ সালের অক্টোবরে গাজায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করে ইসরায়েল। সে সময় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু ছিলেন তিনি। হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া ইরানে নিহত হওয়ার পর ২০২৪ সালের জুলাই মাসে হামাসের হাল ধরেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
**ইসমাইল হানিয়া**: ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ইরানের রাজধানী তেহরান সফরে গিয়েছিলেন ইসমাইল হানিয়া। তখন বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁকে হত্যা করে ইসরায়েল। ২০১৭ সাল থেকে হামাসের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমস–এর খবর অনুযায়ী, তেহরানে তিনি কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সেখানে গোপনে বিস্ফোরক স্থাপন করে রেখেছিলেন ইসরায়েলি গোয়েন্দারা।

**মোহাম্মদ দেইফ**: মোহাম্মদ দেইফ ছিলেন হামাসের সামরিক শাখার কমান্ডার। তাঁকে ৭ অক্টোবর হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে ধারণা করা হয়। দেইফকে সাতবার হত্যার চেষ্টা করেছিল ইসরায়েল। পরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, ২০২৪ সালের মার্চে গাজার খান ইউনিস এলাকায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

**মারওয়ান ইসা**: ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হন হামাসের সামরিক শাখার ডেপুটি কমান্ডার মারওয়ান ইসা। মোহাম্মদ দেইফ ও ইয়াহিয়া সিনওয়ারের পাশাপাশি তিনিও ইসরায়েলের বড় লক্ষ্যবস্তু ছিলেন।
**যাঁরা এখনো বেঁচে আছেন**: প্রথমেই বলতে হবে ইজ আল–দিন আল–হাদাদের কথা। মোহাম্মদ সিনওয়ারের মৃত্যুর পর তিনিই এখন হামাসের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ নেতা। এরপর রয়েছেন খলিল আল–হায়া। বর্তমানে তাঁকে হামাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন খালেদ মেশাল, মোহাম্মদ দারবিশ, নিজার আওয়াদাল্লাহ ও জাহের জাবারিন। এর মধ্যে ২০০৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খালেদ মেশাল।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.