Wednesday, September 3, 2025

ওষুধ থাকা সত্ত্বেও ছদ্মবেশী দুদক কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়নি

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে তিনটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুদকের খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে। টিমের অন্য দুই সদস্য ছিলেন উপ-সহকারী পরিচালক শামীম রেজা ও মো. রুবেল হোসেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল ইসলাম জানান, চারটি অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে, যার মধ্যে তিনটির সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রথম অভিযোগ ছিল, নির্ধারিত ৩ টাকার টিকিটের পরিবর্তে ৫ টাকা নেওয়া হচ্ছে, যার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ডাক্তারদের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ ফার্মেসি থেকে সরবরাহ করা হয় না। দুদকের একজন সদস্য রোগী সেজে প্রেসক্রিপশন নিয়ে ফার্মেসিতে গিয়েছিলেন। সেখানে সাধারণ প্যারাসিটামল ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়া অন্য কিছু দেওয়া হয়নি। নাপা থাকা সত্ত্বেও তা সরবরাহ করা হয়নি, এই অভিযোগেরও সত্যতা পাওয়া গেছে। তৃতীয়ত, আবাসিক রোগীদের খাবারের মান খুবই নিম্নমানের। ৪৮০ টাকা মূল্যের রুই মাছ ও চালের নির্ধারিত পরিমাণ ও গুণগত মানের তুলনায় কম পরিমাণে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। চতুর্থ অভিযোগ ছিল, ডাক্তাররা নিয়মিত অফিস করেন না। ১৬ জন ডাক্তারের মধ্যে চারজন উপস্থিত ছিলেন। একজন ডাক্তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিলেও রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করেননি। অনুপস্থিত ডাক্তাররা অন্যত্র ব্যস্ত থাকার যথাযথ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। রাকিবুল ইসলাম জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুদক কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে, এবং কমিশন আইনি ব্যবস্থা নেবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, এবং তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরা বলেন, জনবলের ঘাটতির কারণে রোগীদের খাবার নিয়মিত পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। টিকিটের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওষুধের সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেক সময় শর্ট স্লিপের ওষুধ দেওয়া সম্ভব হয় না। অন্যদিকে, রোগীদের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রাখি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সেলিম সরদার বলেন, সরকার নির্ধারিত পরিমাণ ও মান অনুযায়ী সবকিছু সরবরাহ করা হয়।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.