Thursday, September 4, 2025

হাসনাত-সারজিসের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা: ফারুক ৩ দিনের রিমান্ডে

আদালত প্রাঙ্গণে মোহাম্মদ হোসেন ফারুক।

উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে নাম ভাঙিয়ে সরকারি প্রজেক্টের ১০০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে নাট্য প্রযোজক মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটনের কাছ থেকে প্রতারণা করে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় প্রতারক মোহাম্মদ হোসেন ফারুককে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. হারুনুর রশিদ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মীর ফখরুদ্দিন ওরফে ছোটন। মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, আসামি ফারুকের সঙ্গে মামলার বাদীর বন্ধুর মাধ্যমে ব্যবসায়িক কারণে পরিচয় হয়। গত বছরের নভেম্বরের প্রথম দিকে আসামি ফারুক জানায়, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আসিফ মাহমুদ ও এনসিপির হাসনাত, সারজিসের সঙ্গে ছবি দেখিয়ে সরকারি প্রোগ্রাম ও ডকুমেন্টারি প্রজেক্টে ১০০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে। সেজন্য হাসনাত ও সারজিসকে ২ কোটি টাকা দিতে হবে। আর অগ্রিম হিসেবে এখনি ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। পরে মামলার বাদী গত বছরের ১৯ নভেম্বর ফারুককে ৫০ লাখ টাকা দেন। পরে কাজ পাওয়ার জন্য বারবার কল দিলেও আসামি কল রিসিভ করেনি। উল্টো এ বছরের ১৩ আগস্ট টাকা চাইলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভুক্তভোগী বিষয়টি হাসনাতকে জানান। পরে গত ২৫ আগস্ট এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় জিডি করেন হাসনাত।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.