Tuesday, September 16, 2025

করতাপমাত্রা বৃদ্ধিতে বিশ্বে দ্বিতীয় বাংলাদেশ

আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকেল ০৪:৩৫ | অনলাইন সংস্করণ

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ দ্রুত একটি ‘হটস্পটে’ পরিণত হচ্ছে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হারে দেশটি বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এটি কেবল পরিবেশগত সমস্যা নয়, স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ওপরও গভীর প্রভাব ফেলছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে তাপের প্রভাব’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সৈয়দুর রহমান। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস অফিসার ইফফাত মাহমুদ ও সিনিয়র স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ওয়ামেক এ রাজা মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়েছে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ‘অনুভূত তাপমাত্রা’ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা জাতীয় গড়ের তুলনায় ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি বেড়েছে। উষ্ণ আবহাওয়ার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়, যেখানে ঢাকার হিট ইনডেক্স জাতীয় গড়ের তুলনায় ৬৫ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালে তাপজনিত সমস্যায় ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে, যার আর্থিক ক্ষতি ১.৭৮ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ জিডিপির ০.৪ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের ইফফাত মাহমুদ বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি স্বাস্থ্যঝুঁকি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। তবে প্রমাণভিত্তিক নীতি ও বিনিয়োগের মাধ্যমে এটি মোকাবিলা সম্ভব। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান বিষয়ক পরিচালক জ্যাঁ পেসমে বলেন, চরম গরম শুধু মৌসুমি সমস্যা নয়, এটি স্বাস্থ্য, উৎপাদনশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য হুমকি। সিঙ্গাপুরের মতো দেশের অভিজ্ঞতা থেকে সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা সম্ভব। প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, জাতীয় প্রস্তুতি জোরদার, স্বাস্থ্যসেবায় তাপজনিত রোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধি, শহরে সবুজায়ন বাড়ানো এবং আবহাওয়া ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা করা। এছাড়া, আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে। **ঢাকা গেট** স্বত্ব © ঢাকা গেট মিডিয়া লিমিটেড ২০২৫

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.