Saturday, September 6, 2025

আ.লীগ ও জাতীয় পার্টিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে: সারজিস আলম

পঞ্চগড়, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপরাধ, দুর্নীতি ও খুনিদের কোনো স্থান নেই উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তারাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যেমন জনগণের রক্তের দায়ে কলঙ্কিত, তাদের দোসর জাতীয় পার্টিও সমানভাবে দায়ী। অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে এই দুই দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা শহরের কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রত্যেক নেতা খুন, সন্ত্রাস ও দমননীতির সঙ্গে জড়িত। শেখ হাসিনা একা কিছু করেননি, তার জেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতারাই তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছে। তারা সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। জাতীয় পার্টিকে ‘আওয়ামী লীগের বি-টিম’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, দলটির কো-চেয়ারম্যান সম্প্রতি বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভালো নেতাদের মনোনয়ন দেওয়ার কথা। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই—এই কথাই প্রমাণিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের পতনের পর তাদের ছায়াতলে থাকা চোরদের জাতীয় পার্টি এখন আশ্রয় দিচ্ছে। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ, শাপলা চত্বরের গণহত্যা এবং সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানকালে হাজারো মানুষ হত্যার দায় আওয়ামী লীগের। এ অপরাধের জন্য কোনোভাবেই তাদের ক্ষমা করা যায় না। যারা গণহত্যার দায়ে জড়িত, তাদের বিচার ফাঁসির মঞ্চে হতে হবে। এটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আপনাদের কাজ শুধু একটি গতানুগতিক সরকার পরিচালনা করা নয়। জনগণ রক্ত দিয়েছে অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য। ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারীদের প্রতি নমনীয়তা জনগণের আস্থা সংকট তৈরি করবে।
সারজিস আলম আরও বলেন, আগামী বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকবে কেবল তাদেরই, যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে। যারা খুনি হাসিনাকে স্বৈরাচার বানাতে সহযোগিতা করেনি। যারা অভ্যুত্থানের যোদ্ধা ছিল তাদের হাতেই ভবিষ্যতের রাজনীতি থাকবে। অপরাধীদের কোনো স্থান বাংলাদেশে হবে না বলে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.