বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)-এর গোপন আস্তানায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক মাসব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে। গত ২৫ জুলাই থেকে ২৬ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত চলা এই অভিযানে একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি ধ্বংস এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রেংতেলাং পাহাড় ও অন্যান্য দুর্গম এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় রেংতেলাং পাহাড়ে কেএনএ-এর পরিচয় দেওয়া বম পার্টির একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি শনাক্ত করা হয়। সেখানে কাউকে পাওয়া না গেলেও প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশ করে। তাদের সশস্ত্র শাখা কেএনএ বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি উপজেলার বম অধ্যুষিত দুর্গম এলাকায় এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার রাইংক্ষ্যং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে তIMOপরতা চালায়। কেএনএফের বিরুদ্ধে সমতলের উগ্রবাদী গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে বেশ কয়েকজন উগ্রবাদী ও কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে কেএনএফ সদস্যরা রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও পুলিশের অস্ত্র লুট করে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ ও তাদের সশস্ত্র সদস্যদের তৎপরতা বর্তমানে সীমিত হয়ে পড়েছে।