Wednesday, September 3, 2025

বান্দরবানের কেএনএর ঘাঁটিতে সেনা অভিযান, প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম উদ্ধার

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)-এর গোপন আস্তানায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক মাসব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে। গত ২৫ জুলাই থেকে ২৬ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত চলা এই অভিযানে একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি ধ্বংস এবং প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুমা উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রেংতেলাং পাহাড় ও অন্যান্য দুর্গম এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় রেংতেলাং পাহাড়ে কেএনএ-এর পরিচয় দেওয়া বম পার্টির একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি শনাক্ত করা হয়। সেখানে কাউকে পাওয়া না গেলেও প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে কাঠের রাইফেল, স্নাইপার অস্ত্রের সিলিং, মিলিটারি বেল্ট, কার্তুজ বেল্ট, সামরিক পোশাক, বুট, কম্বল, ওয়াকিটকি চার্জার, সোলার প্যানেল, রসদ এবং বিভিন্ন সামগ্রী। অভিযানে প্রশিক্ষণ ঘাঁটির প্রশিক্ষণ মাঠ, ফায়ারিং রেঞ্জ, পরিখা এবং বিভিন্ন কৌশলগত স্থাপনা দখল করে নিয়েছে সেনাবাহিনী। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশ করে। তাদের সশস্ত্র শাখা কেএনএ বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, থানচি উপজেলার বম অধ্যুষিত দুর্গম এলাকায় এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার রাইংক্ষ্যং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে তIMOপরতা চালায়। কেএনএফের বিরুদ্ধে সমতলের উগ্রবাদী গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়াকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে তাদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে বেশ কয়েকজন উগ্রবাদী ও কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিলে কেএনএফ সদস্যরা রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ও পুলিশের অস্ত্র লুট করে। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ ও তাদের সশস্ত্র সদস্যদের তৎপরতা বর্তমানে সীমিত হয়ে পড়েছে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.