ঢাকা, ২ আগস্ট, ২০২৫: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন, কারণ বাংলাদেশি পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক ৩৫% থেকে কমে ২০% হয়েছে, যা প্রতিযোগী দেশ চীন ও ভারতের তুলনায় কম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই শুল্ক কার্যকরের সময়সীমা এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৭ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন।
শুল্ক হ্রাসের ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বড় স্বস্তি এসেছে। রপ্তানিকারকেরা মনে করছেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াবে। চীনের ওপর উচ্চ শুল্ক থাকায় সেখান থেকে প্রচুর ক্রয়াদেশ সরে আসতে পারে, যার একটি অংশ বাংলাদেশ পেতে পারে। ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক থাকায় এই সুযোগ আরও বড় হতে পারে।
এশিয়ান-ডাফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাল্টা শুল্ক ৩৫% থেকে কমে ২০% হওয়াটা বিশাল স্বস্তির খবর। প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছাকাছি শুল্কের কারণে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারব।’
তবে, রপ্তানিকারকেরা সতর্ক করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সম্ভাবনা থাকলেও চীনের ওপর উচ্চ শুল্কের কারণে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে আগ্রাসী হতে পারে, ফলে বাংলাদেশকে সেখানে নতুন প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে। চট্টগ্রামের ইনডিপেনডেন্ট অ্যাপারেলসের এমডি এস এম আবু তৈয়ব প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিযোগী দেশগুলোর সমপর্যায়ের শুল্ক হলেও প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবসার খরচ কমানো দরকার। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, যখন খরচ কমানো প্রয়োজন, তখন বন্দর ও বেসরকারি ডিপোর মাশুল বাড়ছে।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির একক শীর্ষ বাজার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৮৬৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা মোট রপ্তানি আয়ের ১৮% এর কিছু বেশি। এর মধ্যে ৮৬% এর বেশি তৈরি পোশাক, যার মূল্য ৭৫৪ কোটি ডলার।
স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভালো অবস্থানে আছি। পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে চাহিদা কমলেও আমাদের রপ্তানি কমবে না, কারণ চীন থেকে ক্রয়াদেশ সরে আসবে। তবে বড় আকারে ব্যবসা পেতে সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।’
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষ ১০ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হলো ভিয়েতনাম, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান ও কোরিয়া। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের পণ্যে ২০%, চীনের পণ্যে ৩০%, ভারতের পণ্যে ২৫%, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তানের পণ্যে ১৯% এবং কোরিয়ার পণ্যে ১৫% পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন।
বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাল্টা শুল্ক ৩৫% থেকে ২০% এ নামা সুসংবাদ। তবে বাড়তি শুল্কের কারণে আগামী কয়েক মাস ক্রয়াদেশ কম থাকতে পারে। এ সময়ে ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো যেন ব্যবসা থেকে ছিটকে না যায়, সেটি সরকারকে নজরদারিতে রাখতে হবে। শুল্কের এই হার বজায় থাকলে তৈরি পোশাক খাতে নতুন সুযোগ আসবে।’
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.