Saturday, August 23, 2025

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় লাখে ১০৭ পুরোনো গাছ বিক্রি, কাটা হলো ২২টি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) নিলামের মাধ্যমে গাছ বিক্রি করে বৃক্ষনিধন চলছে। শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৫, দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠের পাশে চারটি গাছ কাটা হয়েছে। গত দুদিন ধরে গাছ কাটা চলছে বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৭টি গাছ দেড় লাখ টাকায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২২টি গাছ কাটা হয়েছে, যার মধ্যে আকাশমণি, কদম ও রেইনট্রি রয়েছে। এগুলোর অধিকাংশই ছায়াবৃক্ষ হিসেবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও আড্ডার সময় তীব্র রোদ থেকে রক্ষা করত। গাছগুলো মূলত গ্যারেজের পেছনের জঙ্গল ও বাস্কেটবল মাঠের পাশ থেকে কাটা হয়েছে।

শনিবার বেলা আড়াইটায় বাস্কেটবল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পূর্ব পাশে মেডিকেল–সংলগ্ন সড়কের দুটি গাছ ও পশ্চিম পাশের দুটি গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত দুজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশের এক ব্যবসায়ীর কাছে গাছগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে, যারা পুরোনো গাছ কেটে নিলামের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গাছ কাটায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জীবন সরকার বলেন, “শহীদ মিনারের পেছনে এখনো গাছ কাটা হচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোনো গাছ সংরক্ষণ করা হয়, কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক। নতুন গাছ লাগালেও এগুলোর জায়গা পূরণ হবে না।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার প্রধান অধ্যাপক আবুল হাসনাত প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর গাছ কাটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি বিভাগ ও দপ্তর থেকে অনুরোধ ছিল। বাস্কেটবল মাঠের পাশের কিছু গাছ হেলে সমস্যা সৃষ্টি করছিল। মাঠ ঠিক করে নতুন ছায়াবৃক্ষ লাগানোর পরিকল্পনা আছে। আকাশমণি–জাতীয় গাছ কাটার জন্য সরকারি আদেশও রয়েছে। বন বিভাগের অনুমোদন না নিলেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। সিলেট বন বিভাগের টাউন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, “গাছ কাটার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি।”
এর আগে, ১২ আগস্ট ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একটি কদমগাছ কাটার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিলেন।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.