Saturday, August 23, 2025

রাশিয়ান জাতীয় পতাকা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় গালা কনসার্ট: রুশ-বাংলাদেশি বন্ধুত্বের উজ্জ্বল প্রতীক

এই গালা কনসার্ট ছিল রুশ-বাংলাদেশি বন্ধুত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যেখানে সংস্কৃতি, সঙ্গীত ও সৌহার্দ্য একত্রে উদযাপিত হয়েছে।

ঢাকা, ২২ আগস্ট ২০২৫ — রাশিয়ান ফেডারেশনের জাতীয় পতাকা দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার উদ্যোগে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চে এক বর্ণাঢ্য গালা কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সম্মিলনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান রুশ-বাংলাদেশি বন্ধুত্বের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।

আনুষ্ঠানিক পর্বে কূটনৈতিক বার্তা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশে রাশিয়ান দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সেলর মিস একাতেরিনা সেমেনোভা। তারা রাশিয়ান ত্রিবর্ণ পতাকার তাৎপর্য, জাতীয় পরিচয় এবং সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে এর গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা: রুশ ও বাংলা সুরের মেলবন্ধন সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয় খ্যাতনামা বাংলাদেশি সঙ্গীত দলসমূহ। শিক্ষার্থী দল “আকাশ’কোং” পরিবেশন করে রুশ সঙ্গীত, আর জনপ্রিয় রক ব্যান্ড “সোনার বাংলা সার্কাস” পরিবেশন করে রুশ গান ও নিজেদের মৌলিক বাংলা গান। দুই দেশের সুর ও ছন্দের এই সম্মিলন দর্শকদের মুগ্ধ করে।


৩১ মিটার দীর্ঘ রাশিয়ান পতাকার আবেগঘন প্রদর্শন সন্ধ্যার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল ৩১ মিটার দীর্ঘ রাশিয়ান পতাকার গাম্ভীর্যপূর্ণ অগ্রসরতা, যা দর্শকসারিতে আবেগের ঢেউ তোলে। অতিথিরা রাশিয়ার জাতীয় প্রতীকসমূহের সাথে ছবি তোলেন এবং স্মারক উপহার গ্রহণ করেন।

দূতাবাসের বার্তা মিস সেমেনোভা বলেন, “এই কনসার্ট কেবল রাশিয়ান জাতীয় পতাকা উদযাপন নয়, বরং আমাদের দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের এক সেতুবন্ধন। আমরা আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুদের আন্তরিক অভ্যর্থনা ও যৌথ উদযাপনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।”


বিপুল উপস্থিতি ও উচ্ছ্বাস অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক মহল, সরকারি প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী এবং প্রায় ৮,০০০ দর্শক উপস্থিত ছিলেন। সক্রিয় অংশগ্রহণ ও উচ্ছ্বাস প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের জনগণ রুশ সংস্কৃতির প্রতি আন্তরিক আগ্রহী, যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে।



Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.