Saturday, August 2, 2025

ধর্ষণের অভিযোগে পিএসজি তারকা আশরাফ হাকিমির বিচার দাবি ফরাসি কৌঁসুলিদের

২০২৩ সালে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) তারকা আশরাফ হাকিমির বিচারের দাবি তুলেছেন ফরাসি কৌঁসুলিরা। মরক্কোর এই রাইটব্যাক অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।  

নঁতের কৌঁসুলি অফিস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, তদন্তে নিয়োজিত বিচারককে এই ধর্ষণের অভিযোগ ফৌজদারি আদালতে তোলার অনুরোধ করা হয়েছে। কৌঁসুলি অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়, “নিজের আদেশ কাঠামোর মধ্যে থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব এখন তদন্তে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটের।”  

অভিযোগের বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাকিমি অভিযোগকারী নারীকে প্যারিসের উপকণ্ঠে বুলান–বিয়ানকুতে তাঁর বাসায় আসার জন্য ট্যাক্সি ভাড়া দেন। তখন হাকিমির স্ত্রী ও সন্তানরা ছুটি কাটাতে বাইরে ছিলেন। অভিযোগকারী নারী পুলিশ স্টেশনে গিয়ে হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এবং পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। যদিও তিনি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করতে চাননি, কৌঁসুলিরা হাকিমির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।  

অভিযোগকারী নারী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইনস্টাগ্রামে হাকিমির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। ঘটনার রাতে তিনি ট্যাক্সি করে হাকিমির বাসায় যান, এবং ভাড়া পিএসজি তারকা নিজেই দেন। তিনি পুলিশকে বলেন, হাকিমি তাঁর সম্মতি ছাড়াই শরীর স্পর্শ করেন এবং পরে ধর্ষণ করেন। পুলিশের একটি সূত্রও এএফপিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। নারী এক বন্ধুকে ফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে আসতে বলেন, এবং পরে সেই বন্ধু তাঁকে নিয়ে যান।  

হাকিমির আইনজীবী ফ্যানি কোলিন এএফপিকে বলেন, কৌঁসুলিদের এই সিদ্ধান্ত “মামলার উপকরণের বিচারে বোধগম্য নয় এবং অর্থহীন।” তিনি বলেন, “আমরা শান্ত আছি এবং প্রক্রিয়ার শুরুতে ছিলাম। আমরা অবশ্যই আপিলের সব পথ খুঁজে বের করব।” কোলিন দাবি করেন, হাকিমি “পরিকল্পিতভাবে অন্যায় দাবির শিকার।”  

অভিযোগকারী নারীর আইনজীবী র‌্যাচেল–ফ্লোর প্রাদো বলেন, “এই মামলায় অন্যায় দাবির কোনো আলামত নেই। আমার মক্কেল এই খবরে [হাকিমির বিচারের সম্মুখীন হওয়া] অনেক স্বস্তি পেয়েছেন।”  

গত মে মাসে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পিএসজির ৫-০ গোলের জয়ে হাকিমির বড় অবদান ছিল। ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় প্রথম গোলটি করেন। ২০২২ বিশ্বকাপে মরক্কোর প্রথম আরব দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠার পেছনেও হাকিমির দারুণ অবদান ছিল।  


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.