Saturday, August 23, 2025

১৩ বছর পর ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইসলামাবাদ বলছে ‘ঐতিহাসিক

বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মোহাম্মদ ইসহাক দার। ১৩ বছরের মধ্যে এটিই প্রথমবার কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন।

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে ইসলামাবাদ ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক উষ্ণ হয়েছে, এবং বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি থেকে ইসহাক দারের বিদায়ের সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তিনি বাংলাদেশে ‘ঐতিহাসিক সফর’ শুরু করেছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ঢাকায় তিনি বাংলাদেশি নেতাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন।” পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, “প্রায় ১৩ বছর পর একজন পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করছেন, এই সফর পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।” ২০১২ সালের নভেম্বরে শেষবার কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসেছিলেন। সে সময় হিনা রব্বানী খার ছয় ঘণ্টার সফরে এসে ইসলামাবাদে একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, সফরকালে ইসহাক দার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন বাংলাদেশি নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকগুলোতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক এবং বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসসকে জানিয়েছেন, এই সফরে বাণিজ্য, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম, প্রশিক্ষণ এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে চার থেকে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত এপ্রিলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের ঢাকা সফরের মাধ্যমে ১৫ বছর পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হয়। গত মাসে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি ঢাকা সফর করেন। এরপর দুই দেশ কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদানে সম্মত হয়।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.