Friday, August 1, 2025

কিলার গ্যাংয়ের প্যাডে মাছ ব্যবসায়ীকে চাঁদার চিঠি, টাঙ্গাইলে আতঙ্ক

টাঙ্গাইলে এক মাছ ব্যবসায়ীকে ‘কিলার গ্যাং’ নামে পরিচিত একটি দলের প্যাডে চিঠি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে মাছ ব্যবসায়ী মো. আজাহারুল ইসলাম এই চিঠি হাতে পান। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পৌর এলাকার সন্তোষে তার কর্মচারীর হাতে অচেনা এক ব্যক্তি চিঠিটি দিয়ে যায়।

চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে, “চিঠি পাওয়ার পর তুই যদি এ বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করিস বা আইনের আশ্রয় নিস, তাহলে তোর লাশ যেন পরিবার খুঁজে না পায়, সে ব্যবস্থা আমরা করব।” এতে আরও বলা হয়, “মনে রাখবি, প্রশাসন সবসময় তোর সঙ্গে থাকবে না। তুই বাঁচতে পারবি না। বুদ্ধিমানের মতো সিদ্ধান্ত নিলে তুই ও তোর পরিবার নিরাপদ থাকবে।” চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “তুই দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা করছিস, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ৫ লাখ টাকা তোর কাছে কিছুই না।” নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ৩ আগস্ট, রোববার, সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে কাগমারীতে মাহমুদুল হাসানের বাসার সামনে ফরহাদের ছবি লাগানো একটি গাছের নিচে শপিং ব্যাগে টাকা রেখে যেতে। সন্তোষ বাজার কমিটির আহ্বায়ক মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, “আজাহার ভাই একজন সৎ মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা করছেন। আজ সকালে জানতে পারলাম, তার কাছে একটি চিঠি এসেছে, যাতে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সন্তোষে এমন ঘটনা শুনিনি। এটি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।” আতঙ্কিত আজাহারুল বলেন, “আমার কর্মচারী নিশা অশিক্ষিত এবং দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে কাজ করে। বৃহস্পতিবার রাতে অচেনা একজন তাকে চিঠিটি দেয়। শুক্রবার সকালে সে আমাকে দেয়, বলে যে একটি ক্লাব থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পড়ে আমি ভয় পেয়েছি, আমার পরিবার আতঙ্কে আছে। সন্তোষ পুলিশ ফাঁড়ির ওসিকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাতে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করব।”
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এইচএম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, “বিষয়টি আমি জেনেছি। সদর থানার ওসি তানভীরের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত তদন্ত শুরু করেছি। টাঙ্গাইলে এমন ঘটনা এর আগে শুনিনি। বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.