পেজেশকিয়ান বলেন, “পাকিস্তানের মাধ্যমে আমরা চীন-পাকিস্তান সিল্ক রোডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি, যা ইরান হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।” তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো অবস্থানে রয়েছে এবং এই সফরের লক্ষ্য এই সম্পর্ককে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা।
ইরান ও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, শিল্প ও সীমান্ত সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। তিনি দুই দেশের জনগণের মধ্যে আদর্শিক বন্ধনের কথাও তুলে ধরেন।
আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তান। তিনি ইরানের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষায় পাকিস্তান পার্লামেন্টের অবস্থানের প্রশংসা করেন এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বাইরের শক্তিগুলো মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে, কিন্তু ইরান পাকিস্তানের সঙ্গে ঐক্য ও সংহতি গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে পেজেশকিয়ানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। শিশুরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) প্রধান নওয়াজ শরিফ এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দর পাকিস্তান ও ইরানের পতাকায় সজ্জিত করা হয়। পেজেশকিয়ানের সফরসঙ্গী হিসেবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিসহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটি পেজেশকিয়ানের প্রথম পাকিস্তান সফর। সফরকালে তিনি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই সফর দুই দেশের ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।