তিন দফা দাবিতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ। তিনি কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেছেন, “আমরা আগামীকাল বিকাল পাঁচটায় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স কাউন্সিল হলে সাংবাদিকদের নিয়ে সভা এবং পরবর্তী কর্মসূচির জন্য একটি সভা আহ্বান করছি।”
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে দশটার দিকে শাহবাগ মোড়ে তিনি এ কথা জানান।
মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, “আজকে যমুনা অভিমুখে আমাদের যাত্রায় পুলিশের হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। আজকে আমরা পুলিশের কাছে মার খেয়েছি। আমাদের ৫০ এর অধিক প্রকৌশলী ও ছাত্র আহত হয়েছেন। অনেকেই হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন।”
তিনি বলেন, “কর্মসূচির ব্যাপারে আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, যে তিন দফার ব্যাপারে আমরা দাবি রেখেছিলাম তার কোনোটাই এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। আগামীকাল বিকেল পাঁচটায় আইবি অর্থাৎ ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর কাউন্সিল হলে সভায় আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করবো।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, “আমার প্রিয় হাসনাত ভাই (হাসনাত আব্দুল্লাহ) এবং সার্জিস ভাই (সার্জিস আলম) এর ওপর আমি ক্ষুব্ধ। কারণ হাসনাত ভাই আজকে দুপুরে একটি পোস্ট শেয়ার করছেন। আমি জানি না, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এতদিন যাবৎ পড়াশোনা করেন অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল অনুষদ আছে, যেখানে একটা ডিপার্টমেন্ট আছে, সম্ভবত সে বিষয়ে তার কোনো খবর নেই।”
তিনি বলেন, “আজকে এখানে যখন হামলা হলো, দুজনের পায়ে গ্রেনেডের স্প্রিন্টার ঢুকে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন আহত হয়েছেন।”
প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের আন্দোলনকারী ও শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ বলেন, “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। আগামীকাল সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করা হলো। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা হবে না।”
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তিন দাবির মধ্যে রয়েছে: ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে প্রকৌশলী লিখতে না দেওয়া; ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে নবম গ্রেডে উন্নীত না করা এবং দশম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.