সাগরপাড়ি দিয়ে ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন দুই বাংলাদেশি। এ সময় তাদের ইতালির নিরাপত্তারক্ষীরা সাগর থেকে উদ্ধার করে। তবে তাদের ইতালিতে না রেখে পাঠানো হয় আলবেনিয়ায়। সেখান থেকেই তাদের আশ্রয়ের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ এবং তাদের আবেদন বাতিল করা হয়।
তবে আশ্রয় আবেদন বাতিলের বিষয়টির বিরুদ্ধে ইতালির আদালতে মামলা করেন ওই দুই বাংলাদেশি। এরপর তাদের মামলাটি পাঠানো হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সর্বোচ্চ আদালতে।
এ মামলার প্রেক্ষিতে ইইউর সর্বোচ্চ আদালত আজ শুক্রবার (১ আগস্ট, ২০২৫) রায় দিয়েছেন, ইতালি কোনো অভিবাসন প্রত্যাশীকে আলবেনিয়ার বন্দিশিবিরে পাঠাতে পারবে না। বাংলাদেশিদের মামলার পক্ষে রায় দেওয়ার পর এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “আবারও, এই বিচার ব্যবস্থা, এবার ইউরোপীয় পর্যায়ে, নিজেদের বিচারাধিকার দাবি করছে, যেখানে যা তাদের নেই। এ রায়ের বিরুদ্ধে সবদিক দিয়ে কাজ করব আমরা।”
ইতালি ২০২৩ সালে আলবেনিয়ার সাথে একটি চুক্তি করে, যার আওতায় আলবেনিয়ায় বন্দিশিবির তৈরি করা হয়। এই শিবিরে ইতালিতে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ইতালির দৃষ্টিতে যেসব দেশ ‘নিরাপদ’ বলে বিবেচিত, সেসব দেশের নাগরিকরা যদি অবৈধভাবে বা সাগরপাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয় চান, তাদের ইতালিতে না রেখে আলবেনিয়ায় পাঠানো হয়। সেখানে তাদের আশ্রয়ের আবেদন বিবেচনা করা হয়। আবেদন মঞ্জুর হলে তারা ইতালিতে আসতে পারেন।
২০২৪ সালের অক্টোবরে ইতালি তাদের ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকা হালনাগাদ করে, যেখানে বাংলাদেশ, মিসরসহ আরও কয়েকটি দেশকে যুক্ত করা হয়। বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে বিবেচনা করায় বাংলাদেশি কেউ অবৈধভাবে ইতালিতে গিয়ে আশ্রয় চাইলে বা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালিতে ঢোকার চেষ্টাকালে উদ্ধার হলে তাদের আলবেনিয়ার বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়।
ইইউর সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে ইতালির ঘোষণারও নিন্দা জানিয়েছেন। আদালত বলেছেন, কোনো দেশ চাইলেই অন্য কোনো দেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে ঘোষণা দিতে পারে না। এর জন্য বিচারিক প্রক্রিয়া এবং যথেষ্ট প্রমাণ প্রয়োজন।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.