আমরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বাংলাদেশের একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য অংশগ্রহণ চাই।
ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০২৫ – বাংলাদেশী পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আগামী ১ আগস্টের আগে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, “শুল্কহার কমানোর বিষয়ে আমরা আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি খুব কম, প্রায় ৬৫০ থেকে ৭০০ কোটি ডলার।”
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানির পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা কিছু জরুরি পণ্য আমদানি করব, তবে এখনই সেগুলোর নাম বলতে চাই না।”
গম আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা গম আমদানিকে বৈচিত্র্যময় করতে চাই। কৃষ্ণসাগর ঘিরে সমস্যার কারণে রাশিয়া-ইউক্রেন অঞ্চল থেকে আমদানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।”
গমের দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, “দাম কিছুটা বেশি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের গমে প্রোটিনের মাত্রা সামান্য বেশি এবং পরিষ্কার।” বেশি দামে গম আমদানির বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, “এতে আমরা কিছু সুবিধা পাব এবং আলোচনা এগিয়ে নিতে কিছু আমদানি করতেই হবে।” এই আমদানি বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেও সহায়তা করবে বলে তিনি জানান।
উপদেষ্টা জানান, ১ আগস্ট থেকে শুল্কহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার আগে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ইউএসটিআর-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি বলেন, “আমি নিজেও আমার চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।”
লবিস্ট নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, “দীর্ঘমেয়াদি আলোচনার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।” ব্যবসায়ীদের আলোচনায় যুক্ত করার প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও এডিবিতে আলোচনা করেছি। ব্যবসায়ীরা গেট পর্যন্ত ঢুকতে পারবে না, পরে বাইরে হইচই করবে। সেই হইচইয়ে কাজ হবে না।”
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতের গুরুত্ব স্বীকার করে তিনি বলেন, তিনি ইতোমধ্যে ইউএস চেম্বারের সঙ্গে কথা বলেছেন। “যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ভালো ইমেজ আছে। সম্প্রতি আমরা শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি, মেটলাইফের বকেয়া পরিশোধ করেছি। ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখে বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে।”
গত ৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে বাংলাদেশী পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য ঘাটতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তিন মাস আগে ঘোষিত শুল্কহার থেকে ২ শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হলেও এটি ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ শুল্কের তুলনায় অনেক বেশি।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.