Friday, July 11, 2025

সরায়েলের সমালোচনাকারী জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সেসকা আলবানিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা


গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য তুলে ধরায় নিষেধাজ্ঞার মুখে. গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের গণহত্যার তথ্য তুলে ধরার কারণে জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫, এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তিনি আলবানিজকে ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধের প্রচারণা’ চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

আলবানিজ জাতিসংঘের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পশ্চিম তীর ও গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার। ইসরায়েল ও তার সমর্থকেরা দীর্ঘদিন ধরে তার সমালোচনা করে আসছে এবং গাজায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত দেশটি তাকে জাতিসংঘের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় আল জাজিরাকে আলবানিজ বলেন, তিনি তার কাজে মনোযোগী রয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ‘মাফিয়াদের মতো ভয় দেখানোর কৌশল’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “আমি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে গণহত্যা বন্ধ করার এবং এর জন্য দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার বাধ্যবাধকতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি, সেইসঙ্গে যারা এ থেকে লাভবান হচ্ছে তাদের কথাও উল্লেখ করছি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের অধীনে এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রে আলবানিজের সম্পদ জব্দ করবে এবং তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এর আগে বুধবার তিনি ইউরোপীয় সরকারগুলোর সমালোচনা করেন, কারণ তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ভ্রমণের সময় তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসি (সিআইপি) থিঙ্কট্যাংকের প্রধান ন্যান্সি ওকেইল এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘বিধ্বংসী’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, “জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র স্বৈরাচারী শাসকের মতো আচরণ করছে।” অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এই পদক্ষেপে ‘মর্মাহত’ হয়েছেন বলে জানান। তিনি এক্স-এ লিখেছেন, “বিশেষ র‍্যাপোর্টিয়াররা স্বাধীন বিশেষজ্ঞ। তারা সরকারকে খুশি করতে বা জনপ্রিয় হওয়ার জন্য নয়, বরং তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত হন। আলবানিজ আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে ইসরায়েলের বেআইনি দখলদারিত্ব, বর্ণবৈষম্য এবং গণহত্যার তথ্য সংগ্রহে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.