by 
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল শুরু হয়েছে। কালো পাঞ্জাবি পরে, খালি পায়ে এবং মাথায় কালো পতাকা বেঁধে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম তুলে অংশগ্রহণকারীরা এই শোক মিছিলে অংশ নিয়েছেন।
ভোর থেকেই হোসেনি দালানের ঐতিহাসিক ইমামবাড়ায় শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি ধানমন্ডি পর্যন্ত যাবে। এতে হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছেন। মিছিলে অংশ নেওয়া পুরান ঢাকার বাসিন্দা মো. ইমন *প্রথম আলো*কে বলেন, ‘ইমাম হোসেন (রা.) ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে এই দিনে শহীদ হন। শোক পালনের উদ্দেশে এই মিছিলে অংশ নিতে এসেছি।’ হোসেনি দালান ইমামবাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মীর জুলফিকার আলী *প্রথম আলো*কে বলেন, ‘কয়েক শ বছর ধরে এই মিছিল হয়ে আসছে। এই শোক মিছিলের মাধ্যমে সব যুগের মানুষকে কারবালার নির্মম ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।’ সরেজমিনে দেখা গেছে, তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারী তরুণরা কালো পোশাক পরেছেন, যা শোক প্রকাশের প্রতীক। অনেকের হাতে ছিল নিশান, আলম এবং দুলদুল ঘোড়ার প্রতীকী উপস্থাপনা। মিছিলটি হোসেনি দালান থেকে শুরু হয়ে বকশীবাজার, উর্দু রোড, লালবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হবে। মিছিলটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনে ও পেছনে সতর্ক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাজিয়া মিছিলে দা, ছুরি, কাস্তে, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বা আতশবাজি ও পটকা বহন করা যাবে না। আজ ১০ মহররম। সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন, যা পবিত্র আশুরা নামে পরিচিত। আরবি ‘আশারা’ শব্দের অর্থ দশ, আর আশুরা মানে দশম। মহররম অর্থ সম্মানিত। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা কারবালার প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।
.webp)
