স্পেন বিখ্যাত স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিডেনর ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইউরোপে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের সবচেয়ে কড়া সমালোচক দেশগুলোর মধ্যে স্পেন অন্যতম, এবং দেশটির সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দিচ্ছে।
বুধবার (২ জুলাই) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
গত মাসে আয়ারল্যান্ডের প্রকাশনা সংস্থা *দ্য ডিচ* একটি প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে টানা ১০ মাসে সিডেনর ইসরায়েলি অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আইএমআই সিস্টেমস-এর কাছে ১ হাজার ২০৭ টন রফতানি করে।
ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ স্টিল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত বাস্কভিত্তিক সিডেনর ঘোষণা করেছে যে, তারা ইসরায়েলের কাছে আর কোনো স্টিল পণ্য বিক্রি করবে না।
স্পেনের গণমাধ্যম *কাদেনা সের*-এর বরাতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করার ফলে সিডেনরের আর্থিক ক্ষতি খুবই সামান্য হবে, কারণ ইসরায়েলের বাজার থেকে তাদের মোট বিক্রির ০.৫ শতাংশেরও কম আসে।
সিডেনর জানায়, এই সিদ্ধান্ত স্পেন সরকারের আহ্বানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্পেনের ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পাবলো বুস্তিন্দুই বলেন, “সিডেনর সামাজিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে।” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্লুস্কাই-তে তিনি আরও বলেন, “আমরা এখনও স্পেনের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধানের কাছ থেকে সেই অনুরোধের জবাব পাইনি, যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলের দখলদারিত্ব, বর্ণবৈষম্য এবং ফিলিস্তিনি জনগণের গণহত্যায় জড়িতদের সঙ্গে সব ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।”
স্পেন সরকার জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকেই তারা অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করেছে। তবে তদন্তে দেখা গেছে, কিছু পুরোনো চুক্তি এখনো চালু রয়েছে।
ইউরোপে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের সবচেয়ে কড়া সমালোচক দেশগুলোর মধ্যে স্পেন অন্যতম। গাজায় এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং লাখো মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন।
২০২৩ সালে স্পেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ সপ্তাহে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট প্রমাণ থাকার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করেনি, যা দুঃখজনক।
Note For Readers:
The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules.
Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters.
The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.