Wednesday, July 2, 2025

রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে ৩০ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে লড়াই করতে উত্তর কোরিয়া আরো ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার সৈন্য পাঠাচ্ছে, যা ফ্রন্টলাইনে উত্তর কোরীয় সেনার সংখ্যাকে প্রায় তিনগুণ করতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে একটি গোপন ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে বলা হয়েছে, মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সম্পর্ক আরো জোরদার হচ্ছে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে প্রায় ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সৈন্য রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল, যারা ইউক্রেনের কুরস্ক অঞ্চলে রুশ সীমান্তে হামলা ঠেকাতে সহায়তা করেছিল। পশ্চিমা ও ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এদের মধ্যে প্রায় ৪ হাজার হতাহত হয়েছেন। তবু মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সিএনএন জানায়, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উত্তর কোরীয় সৈন্যদের জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের পাশাপাশি তাদের রুশ ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইউক্রেনের অধিকৃত এলাকায় বড় ধরনের আক্রমণে তাদের যুক্ত করার আশঙ্কা রয়েছে। স্যাটেলাইট ছবি ও উন্মুক্ত সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সিএনএন জানায়, গত বছরের মতোই রাশিয়ার জাহাজ ও উত্তর কোরিয়ার সুনান বিমানবন্দরে কার্গো বিমানের গতিবিধি বেড়েছে। মে মাসে দুনাই বন্দরে ৪০০ সৈন্য বহনক্ষম রোপুচা-ক্লাস জাহাজ ভিড়েছে। জুনে সুনান বিমানবন্দরে আইএল-৭৬ কার্গো বিমান দেখা গেছে, যা অতীতে সৈন্য পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছিল। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে তার উপদেষ্টা সের্গেই শইগু গত ১৭ জুন পিয়ংইয়ং সফর করেন। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন, উত্তর কোরিয়া ১ হাজার মাইন নিষ্কাশনকারী ও ৫ হাজার সামরিক নির্মাণ শ্রমিক পাঠাবে, যারা কুরস্ক অঞ্চলের ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে কাজ করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে সৈন্য নির্বাচন শুরু করেছে, যারা জুলাই বা আগস্টে পাঠানো হতে পারে। ২০২৪ সালে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ১০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৯০ লাখ গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে বলে জাতিসংঘের ১১টি দেশের যৌথ প্রতিবেদন জানায়। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দারা রুশ ভাষায় অনূদিত উত্তর কোরীয় আর্টিলারি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালও উদ্ধার করেছে।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.