Wednesday, July 16, 2025

গোপালগঞ্জে ‘অবরুদ্ধ’ এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা


গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের হামলায় গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউসে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।

এই হামলার ঘটনা বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যখন রওনা দিয়েছি, তখন গ্রাম থেকে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, সারা দেশ থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন এসে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা এখন একটি জায়গায় অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পরিস্থিতি শান্ত। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন, আর্মি পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।” এর আগে এনসিপি সমাবেশস্থলে হামprotectorহামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই হামলার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন সমাবেশে উপস্থিত এনসিপির নেতাকর্মীরা। তারা অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ মঞ্চে থাকা সাউন্ড বক্স, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করেছে। এই ঘটনা বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সকালে এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার মধ্যে ইউএনওর গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করছে। গোপালগঞ্জে এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করেছে। তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়ক, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক ও টুঙ্গিপাড়ায় এপিসি মোতায়েন করেছে সেনাবাহিনী। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, এনসিপির মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এনসিপির মাসব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জে পথসভার আয়োজন করা হয়, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’।

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.