বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ও সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার দেওয়া বিবৃতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমান বিধ্বস্তের সময় স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ায় স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী অভিভাবকের জন্য অপেক্ষা করছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, আনুমানিক বেলা ১টা ১২ মিনিট থেকে ১টা ১৪ মিনিটের মধ্যে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বেলা ১টায় স্কুল ছুটি হওয়ায় তখন অল্প কিছু শিক্ষার্থী অভিভাবকের জন্য অপেক্ষা করছিল।
স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় নিহত, আহত ও নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ করেছে। বিবৃতি অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ জন শিক্ষার্থী, দুজন শিক্ষক এবং দুজন অভিভাবক রয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৫১ জন, যাদের মধ্যে ৪০ জন শিক্ষার্থী, ৭ জন শিক্ষক, একজন অভিভাবক, একজন আয়া এবং একজন পিয়ন রয়েছেন। একজন আহত ব্যক্তির পরিচয় বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া, ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থী এবং ২ জন অভিভাবক।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গত মঙ্গলবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর ধারাবাহিকতায় হতাহত ও নিখোঁজের তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনী আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এ ব্যাপারে চিকিৎসা ও সেবা কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য বাংলাদেশ বিমানবাহিনী একটি জরুরি সেল গঠন করেছে।