Thursday, July 24, 2025

আইফোন কিনতে কলেজ শিক্ষার্থীর অপহরণ ও ধর্ষণের নাটক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাহিয়া আক্তার নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী আইফোন কেনার জন্য বাবা-মায়ের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহিয়ার দুই সহপাঠী সিফাত মিয়া ও সিনথিয়া আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।

মাহিয়া আক্তার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, বুধবার (২৩ জুলাই) সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই শিক্ষার্থীর পরিবার রূপগঞ্জ থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মাহিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে নারায়ণগঞ্জে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্ত শুরু করে এবং জানতে পারে যে মাহিয়া বেশ কিছুদিন ধরে একটি আইফোন কেনার চেষ্টা করছিলেন। এজন্য তিনি তার দুই সহপাঠী সিফাত ও সিনথিয়ার সঙ্গে মিলে অপহরণের নাটক সাজান। পরিকল্পনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে মাহিয়া মুড়াপাড়া কলেজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। সিফাত অপহরণকারী সেজে মাহিয়ার মাকে ফোন করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং টাকা না দিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি দেন।

মঙ্গলবার রাতে মাহিয়া তার বান্ধবী সিনথিয়ার বাড়িতে ছিলেন, যা সিনথিয়ার পরিবার নিশ্চিত করেছে। বুধবার, যখন মাহিয়ার পরিবার মুক্তিপণের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়, তখন মাহিয়া সিফাতের মাধ্যমে তুষকা সিরাপ কিনে এনে অর্ধেক খেয়ে মুড়াপাড়া কলেজের পেছনে পড়ে থাকেন। সিফাত মাহিয়ার বাড়িতে ফোন করে বলেন, যেহেতু টাকা দেওয়া হয়নি, তাই তার মেয়েকে কলেজের পেছনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় মাহিয়ার সহপাঠী সিফাতকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.