অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৩৩৬ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। এজবাস্টনে ৯টি টেস্ট খেলে এটিই ভারতের প্রথম জয়।
ভারত: ৫৮৭ ও ৪২৭/৬ ডি.
ইংল্যান্ড: ৪০৭ ও ২৭১ (স্মিথ ৮৮, কার্স ৩৮, স্টোকস ৩৩; আকাশ দীপ ৬/৯৯, সুন্দর ১/২৮, কৃষ্ণা ১/৩৯, জাদেজা ১/৪০, সিরাজ ১/৫৭)
**ফল:** ভারত ৩৩৬ রানে জয়ী।
**ম্যান অব দ্য ম্যাচ:** শুবমান গিল
ওয়াশিংটন সুন্দরের বলটি সামনের পায়ে খেলতে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। বল আগে প্যাডে লাগে। ডিআরএস নিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বাংলাদেশের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের সিদ্ধান্তই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়। মধ্যাহ্নবিরতির ঠিক আগে স্টোকসের বিদায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ভারতের হাতে চলে যায়।
আগে কি ইংল্যান্ডের হাতে ছিল? গতকাল, চতুর্থ দিনে ৬০৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ড যখন ব্যাট করতে নামে, তখনই কি? কিংবা আজ দিনের শুরুতে? তবে এজবাস্টনে ঝুম বৃষ্টি তখন ইংল্যান্ডের জন্য আশার আলো ছিল। শেষ দিনে খেলা কখন শুরু হবে, বা হলেও কতক্ষণ চলবে, তা ছিল অনিশ্চিত।
ইংল্যান্ড ৭২/৩ থেকে আবার ব্যাটিং শুরু করার সময় বৃষ্টি প্রায় ১০০ মিনিট খেলা বন্ধ রেখেছিল। এজবাস্টনে আগের ৮ টেস্টে জয়হীন (৭ হার, ১ ড্র) ভারত এবার সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি ছিল না। খেলা শুরুর ২৫ মিনিটের মধ্যেই আকাশ দীপের জোড়া আঘাত! অসাধারণ এক বলে ওলি পোপকে বোল্ড করার পর দারুণ ইনসুইঙ্গারে হ্যারি ব্রুককে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন। ইংল্যান্ড তখন ২১.৩ ওভারে ৮৩/৫। সেখান থেকে স্টোকস ও তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জেমি স্মিথের ৭০ রানের জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে।
কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের ঠিক আগে স্টোকসের আউট ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়। বিরতির পর প্রসিধ কৃষ্ণা ক্রিস ওকসকে ফিরিয়ে স্মিথের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি ভাঙেন। এরপর আকাশ দীপের পঞ্চম শিকার হন স্মিথ। ইংল্যান্ডের ইনিংস তখন আর বেশিক্ষণ টেকেনি। শেষ পর্যন্ত ৩৩৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় ভারত।