সম্প্রতি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) জানিয়েছে, ভারতীয় পুরুষ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচের পদের জন্য ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান কোচ পেপ গার্দিওলা ও বার্সেলোনার সাবেক কোচ জাভি হার্নান্দেজের নামে আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। তবে পরবর্তীতে যাচাই করে দেখা গেছে, এই আবেদনপত্রগুলো সত্য নয় এবং ‘ভুয়া’ বলে চিহ্নিত হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে মানেলো মার্কুয়েজ ভারতের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর নতুন কোচ নিয়োগের জন্য আবেদন আহ্বান করে এআইএফএফ। বৃহস্পতিবার একজন এআইএফএফ কর্মকর্তা *টাইমস অব ইন্ডিয়া*কে জানান, আবেদনকারীদের মধ্যে জাভি হার্নান্দেজের নামও ছিল। জাভি ২০২৪ সালের জুন থেকে বার্সেলোনা ছাড়ার পর কোচিংয়ের কাজের বাইরে আছেন। তবে তার মতো উঁচু পর্যায়ের কোচকে নিয়োগের আর্থিক সামর্থ্য এআইএফএফের নেই বলে আবেদনটি বিবেচনা করা হয়নি।
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, এআইএফএফ একটি বিবৃতি জারি করে জানায়, জাভির পাশাপাশি পেপ গার্দিওলার নামেও ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদন এসেছিল। গার্দিওলা গত নয় বছর ধরে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে কাজ করছেন এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় এই ক্লাবের কোচ হিসেবে থাকা গার্দিওলার ভারতের কোচ হতে আবেদন করার বিষয়টি সন্দেহজনক ছিল। সম্প্রতি তার জাতীয় দল কোচিং বা সিটি ছাড়ার কোনো গুঞ্জনও শোনা যায়নি। এআইএফএফ তদন্ত করে নিশ্চিত করে যে আবেদনগুলো ভুয়া ছিল
‘ভুয়া আবেদন খারিজ করে ভারতীয় সিনিয়র পুরুষ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচের পদের জন্য বাছাই করা প্রার্থীদের পর্যালোচনা করবে এআইএফএফ কার্যনির্বাহী কমিটি’ শীর্ষক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এআইএফএফ স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলা ও জাভি হার্নান্দেজের আবেদনপত্রসহ একটি ই–মেইল পেয়েছিল। তবে তাদের আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি এবং পরে জানা গেছে যে ই-মেইলগুলো সত্য ছিল না।’
এআইএফএফ জানিয়েছে, কোচের পদের জন্য মোট ১৭০টি আবেদন জমা পড়েছিল। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আই এম বিজয়নের নেতৃত্বাধীন টেকনিক্যাল কমিটি প্রথমে ১০ জনকে বাছাই করে, তারপর তিন জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে। ভারত ও এশিয়ার ফুটবল সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন কাউকে কোচ করার পক্ষে এআইএফএফ। এদিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জামশেদপুর এফসির কোচ খালিদ জামিল। তারপর রয়েছেন স্টিফেন কনস্টানটাইন, যিনি পূর্বে ভারতের কোচ ছিলেন, এবং স্লোভাকিয়ার সাবেক কোচ স্টিফান টারকোভিচ।