Saturday, July 5, 2025

চিকিৎসা না পেলে আবার জুলাই হবে: পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের হুঁশিয়ারি


ঢাকা, ৫ জুলাই ২০২৫: রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা চিকিৎসা বঞ্চনার গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তারা জানান, ঈদের ছুটির অজুহাতে হাসপাতালে ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে অনেক আহত ব্যক্তি হাসপাতালের মেঝেতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে সুচিকিৎসা নিশ্চিত না হলে আবারও জুলাইয়ের মতো আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৫ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির সদস্যরা হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে আহতরা তাদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। আহত সৌরভ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এখানে কাউকেই সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। যারা ভর্তি ছিল, তাদের ঈদে বাড়ি যেতে বলা হয়েছিল এবং ফিরে এলে পুনরায় ভর্তি করা হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি। বাড়ি থেকে ফিরে আহতদের আর ভর্তি নেওয়া হয়নি। যারা আহত অবস্থায় পড়ে আছেন, তাদের শরীরে পচন ধরছে।” আরেক আহত আশিক বলেন, “আমি ১১ দিন পর বাড়ি থেকে এসেছি। কিন্তু আমাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। তারা বলেছে ভর্তি নেবে না। তাই আমি মেঝেতে ঘুমাচ্ছি। কোনো চিকিৎসাও পাচ্ছি না।” গুলিবিদ্ধ আয়েশা বলেন, “আমার চিকিৎসা ও সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমি তা পাইনি।” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র সিনথিয়া জাহিন আয়েশা বলেন, “আমরা হাসপাতাল পরিদর্শন করে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। একজন মা জানিয়েছেন, তিনি তার ছেলেকে নিয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরে এসে ছেলেকে আর ভর্তি করা হয়নি। তিনি হাসপাতালে ও বাসাবাড়িতে কাজ করে ছেলের খাবার ও ওষুধের খরচ জোগাড় করছেন।” কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান বলেন, “মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম। কিন্তু আহতদের ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। কখনো সিন্ডিকেট বা গ্রুপিংয়ের কথা বলা হচ্ছে। জুলাই আন্দোলনে কোনো গ্রুপিং ছিল না, সবাই একযোগে মাঠে নেমেছিল। এখন আহতদের সুচিকিৎসা দরকার, প্রয়োজনে বিদেশে পাঠাতে হবে।” হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. আবুল কেনানের সঙ্গে কথা বলে কমিটি জানায়, তিনি নিজেকে ‘নিরুপায়’ বলে উল্লেখ করেছেন, তবে কেন তিনি নিরুপায়, তার কোনো উত্তর দেননি। হাসান বলেন, “এ বিষয়ে আমরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব।” পরিদর্শন শেষে নেতারা ‘চিকিৎসা নিয়ে সিন্ডিকেট চলবে না’ স্লোগান দেন।


Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.