১৮ বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করেও বারবার হতাশ হয়েছিলেন এক দম্পতি। বিশ্বের নানা প্রান্তের ফার্টিলিটি ক্লিনিকে গিয়ে, বহুবার আইভিএফ (ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) করিয়েও মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত সুখবর। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অবদানে মাত্র এক ঘণ্টায় বদলে গেছে তাদের ভাগ্য। সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই, ২০২৫) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দম্পতি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে সন্তান ধারণের চেষ্টা করে আসছিলেন। কিন্তু স্বামীর অ্যাজোস্পার্মিয়া নামক একটি বিরল সমস্যার কারণে তাদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছিল না। এই সমস্যায় পুরুষের বীর্যে কোনো কার্যকরী শুক্রাণু থাকে না। সাধারণত একজন পুরুষের বীর্যে লক্ষাধিক শুক্রাণু থাকে, কিন্তু অ্যাজোস্পার্মিয়ার ক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরীক্ষা করেও শুক্রাণু খুঁজে পাওয়া যায় না, ফলে সন্তান ধারণ প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। শেষ চেষ্টা হিসেবে এই দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ফার্টিলিটি সেন্টারের শরণাপন্ন হন। সেখানে ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক এআই-ভিত্তিক ‘এসটিএআর’ (স্পার্ম ট্রেকিং অ্যান্ড রিকভারি) প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি বীর্যের নমুনায় থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শুক্রাণুও শনাক্ত করতে সক্ষম। এই ক্ষেত্রে, স্বামীর দেওয়া বীর্যের নমুনা বিশ্লেষণ করে এআই মাত্র তিনটি সুস্থ শুক্রাণু শনাক্ত করে। এই শুক্রাণুগুলো ব্যবহার করে আইভিএফ-এর মাধ্যমে স্ত্রীর ডিম্বাণু নিষিক্ত করা হয়, এবং অবশেষে সাফল্য আসে—গর্ভবতী হন ওই নারী। আগামী ডিসেম্বরে জন্ম নেবে তাদের প্রথম সন্তান। ওই নারী বলেন, “এত বছরের হতাশার পর আমরা আর কোনো আশা রাখিনি। যখন জানতে পারলাম আমি গর্ভবতী, তখন দুই দিন ধরে বিশ্বাসই করতে পারিনি। এখনো প্রতিদিন সকালে উঠে নিজেকে জিজ্ঞেস করি—এটা কি সত্যিই ঘটছে?”Friday, July 4, 2025
Author: DhakaGate Desk
Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.
এ সম্পর্কিত আরও খবর
- ব্লগার মন্তব্
- ফেইসবুক মন্তব্য