Thursday, July 24, 2025

সেনাসদস্য পরিচয়ে বিয়ে করতে গিয়ে ধরা, বর ও ঘটককে পিটুনি

পরনে সুন্দর পোশাক, সেনাবাহিনীর মতো করে কাটা চুল। সঙ্গে রয়েছে সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড এবং সেনা পোশাকের একটি ছবি। দেখে যে কেউ মনে করবেন তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। এভাবেই তিনি বিয়ে করতে এসেছিলেন, সঙ্গে ছিলেন একজন ঘটক। নিজেকে সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে নাম বলেন আবু সাঈদ।

কিন্তু মেয়ের পরিবারের পক্ষের ঘটকের সন্দেহ হওয়ায় বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। একপর্যায়ে জানা যায়, তিনি সেনাসদস্য নন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দুজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পাঠানপাড়া বাজার এলাকায়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই দুই ব্যক্তি হলেন সদরুল ইসলাম (৩৮) এবং আব্দুর রহিম (৫০)। সদরুল ইসলাম গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার হরিনাথপুর বিশপুকুর গ্রামের বাসিন্দা এবং আব্দুর রহিম ক্ষেতলালের হোপ গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদরুল ইসলাম নিজেকে সেনাসদস্য হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি ক্ষেতলালের হোপ গ্রামের স্থানীয় ঘটক আব্দুর রহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখতে বলেন। আব্দুর রহিম তার নিজ গ্রামের একটি পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের জন্য সদরুলের কথা বলেন। এ নিয়ে কথাবার্তাও হয়। সদরুল নিজের নাম গোপন করে আবু সাঈদ বলে পরিচয় দেন। আব্দুর রহিম মেয়ের পক্ষের আরেক ঘটকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পাঠানপাড়া বাজারে এসে কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে সদরুলের কথাবার্তা ও আইডি কার্ড দেখে সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি সেনাসদস্য নন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেয়ের পরিবার ও স্থানীয়রা এই প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে তাদের আটকে পিটুনি দেন। খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ক্ষেতলাল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এস এম কামাল হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে ওই দুজনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সেনাসদস্য পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির নামে দুটি মামলা রয়েছে। তিনি আগেও এমন প্রতারণা করেছেন। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.