Sunday, June 8, 2025

স্টারলিংক নিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ

০৮ জুন, ২০২৫ : ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের উপগ্রহ-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক নিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদপত্র দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের কয়েকজন বিশেষজ্ঞের বরাতে জানা গেছে যে, স্টারলিংকের ইন্টারনেট সংযোগে নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে মাস্কের প্রতিনিধিরা হোয়াইট হাউসের পাশের আইজেনহাওয়ার এক্সিকিউটিভ অফিস ভবনের ছাদে একটি স্টারলিংক টার্মিনাল স্থাপন করেন। কিন্তু এই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের আগাম জানানো হয়নি। এই ঘটনায় নিরাপত্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হোয়াইট হাউসের তিনজন কর্মকর্তা, যারা পরিচয় প্রকাশ করেননি।
তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, স্টারলিংকের সংযোগে ‘স্টারলিংক গেস্ট’ নামে একটি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক হোয়াইট হাউসে পাওয়া গেছে, যেখানে শুধুমাত্র পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন ছিল। এতে ব্যবহারকারীর নাম বা দ্বিতীয় স্তরের যাচাই পদ্ধতির প্রয়োজন ছিল না। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস বা হ্যাকারদের অনুপ্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে বলে তারা সতর্ক করেছেন।
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের ডিভাইসগুলো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় থাকে এবং ভিপিএন টানেলের মাধ্যমে সংযোগ নিয়ন্ত্রিত হয়। কিন্তু স্টারলিংকের সংযোগ এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বাইপাস করতে পারে, যা তথ্যের গোপনীয়তার জন্য হুমকি।
এদিকে, ইলন মাস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কের অবনতি এই ঘটনাকে আরও জটিল করেছে। সম্প্রতি ট্রাম্প জানিয়েছেন, মাস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শেষ। মাস্কও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। এই পটভূমিতে স্টারলিংকের নিরাপত্তা ঝুঁকির খবর মাস্কের ব্যবসায়ের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস ও স্টারলিংকের বক্তব্য চেয়েছিল। হোয়াইট হাউস বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের কাছে পাঠায়, এবং সিক্রেট সার্ভিস জানায় যে তারা এটিকে নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করেনি। তবে স্টারলিংকের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.