Saturday, June 7, 2025

ময়মনসিংহে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ প্রচারে বিঘ্ন, ছায়াবানী সিনেমা হল ভাঙচুর

ময়মনসিংহ, ৭ জুন ২০২৫: শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনীর সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে ময়মনসিংহ নগরীর ছায়াবানী সিনেমা হলে দর্শকদের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঈদের দিন শনিবার (৭ জুন) বিকেলে নগরীর সিকে ঘোষ রোড এলাকায় অবস্থিত এই হলে হামলার পর প্রায় এক ঘণ্টা শো বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে সিনেমা প্রদর্শনী পুনরায় শুরু হয়।

ময়মনসিংহে একসময় অজন্তা, ছায়াবানী, অলকা, পূরবী ও সেনা অডিটরিয়াম নামে পাঁচটি সিনেমা হল ছিল। আশির দশকে এই হলগুলো ছিল দর্শকদের প্রিয়। কিন্তু মানহীন সিনেমা, দর্শক সংকট ও ২০০২ সালে সিনেমা হলে বোমা হামলার পর থেকে এগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হতে শুরু করে। বর্তমানে শুধু ছায়াবানী ও পূরবী হল চালু ছিল, তবে পূরবী হল ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।
সূত্র জানায়, ছায়াবানী হলে সাধারণত ঈদ ছাড়া দর্শকের সংখ্যা খুবই কম থাকে। তবে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ সিনেমা দেখতে ঈদের দিন সকাল থেকেই দর্শকদের ভিড় ছিল। ৭৫০ আসনের এই দোতলা হলে বিকেল সাড়ে তিনটার শো চলাকালীন কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রদর্শনী বন্ধ হলে দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তারা হলের ভেতরে ও বাইরে ভাঙচুর চালায়, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি আসন, চেয়ার, পোস্টার, টিকিট কাউন্টারের দরজা-জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দর্শক আল-আমীন হোসেন বলেন, “এই হলটি বিভাগের মধ্যে মোটামুটি ভালো। আমি শেরপুর থেকে ছবি দেখতে এসেছি। কিন্তু টিকিট কাটতে সমস্যা, হলের ভেতরে পানি, আর ছবি শেষ না হতেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দর্শকরা ক্ষিপ্ত হয়েছেন।”
অপর দর্শক হাসান জাকির বলেন, “হলের সামনে শতশত দর্শক অপেক্ষা করছেন। শো শেষ না হলেও কর্তৃপক্ষ টিকিট বিক্রি করছেন, যা নিয়মের বাইরে। ছবি চলাকালীন সাউন্ড বা ডিসপ্লে বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই বিরক্তিকর।”
হলের ক্যাশিয়ার আল-আমীন শেখ জানান, “সমস্যা হঠাৎ করে হয়েছে, তবে দ্রুত সমাধান করা হয়েছে। কিন্তু দর্শকরা আসন ছুড়ে মারা, ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুর ও টাকা লুট করেছে। এমন হলে হল চালানো কঠিন।”
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.