আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ০৯ জুন ২০২৫ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য প্রতিশ্রুত ২০ হাজার অ্যান্টি-ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে না পাঠিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার (৮ জুন) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এবিসি নিউজের ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার ব্যবহৃত ইরানি নকশার শাহেদ ড্রোন প্রতিরোধে ইউক্রেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার অ্যান্টি-ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে পাঠাল
জেলেনস্কি বলেন, “আমরা এই ২০ হাজার অ্যান্টি-শাহেদ ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর নির্ভর করেছিলাম। এগুলো খুব ব্যয়বহুল নয়, তবে এতে বিশেষ প্রযুক্তি রয়েছে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।”
সোমবার (৯ জুন) ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্থগিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ কারণে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ জরুরি নির্দেশনায় এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, হেগসেথ সম্প্রতি ইউক্রেন ডিফেন্স কন্ট্যাক্ট গ্রুপের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন, যা ২০২২ সালে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর প্রথমবার কোনো মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রধানের এই বৈঠকে অনুপস্থিতি।
চলতি বছরের মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা স্থগিত রেখেছে। ফলে ইউক্রেনকে এককভাবে রুশ হামলার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। কিয়েভ ইনডিপেনডেন্ট-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার রাতে কিয়েভে রেকর্ডসংখ্যক ৪৭৯টি ড্রোন এবং ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়, যা যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় রাতের হামলা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া নতুন করে ১২ থেকে ১৫টি ড্রোন লঞ্চ সাইট তৈরি করেছে এবং জেরান ড্রোনের উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ২১ থেকে ৭০-এ বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিদিন হামলার শিকার হচ্ছি। অনেকে বুঝতে পারে না যে যুদ্ধবিরতির কথার আড়ালেও রাশিয়া আক্রমণ বন্ধ রাখে না।”
তিনি আরও বলেন, “পুতিন শান্তিতে আগ্রহী নন। তাকে থামাতে হলে কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, বিশ্ব নেতাদেরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই ক্ষমতা রয়েছে।”
এ.আই/এম.আর