ঢাকা, ১৪ জুন ২০২৫: লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক নিয়ে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রতিক্রিয়ায় যৌথ বিবৃতির সমালোচনা করেছে। জামায়াত মনে করে, এই যৌথ বিবৃতিতে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে, যা প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
জামায়াতের এই প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ শনিবার (১৪ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “এই বৈঠক কোনো দলের প্রতি পক্ষপাত নয়। জামায়াতের আমির গত ১৬ এপ্রিল একটি বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে ২০২৬ সালের রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে। লন্ডন বৈঠকে ঘোষিত নির্বাচনের সময়সীমা এই প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই এতে পক্ষপাতের কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”
লন্ডন বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই ঘোষণার পর জামায়াত ছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী দল এনসিপি প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা অভিযোগ করে, সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধু একটি দলের দাবিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এনসিপি মনে করে, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, বিচার ব্যবস্থার সংস্কার এবং একটি রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচনের আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত।
এনসিপির এই অভিযোগের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এনসিপি লন্ডন বৈঠকের ঘোষণাকে দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখছে। আমি তাদের পরামর্শ দেব, তারা যেন দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেয় এবং আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করে।”
জামায়াতের প্রতিক্রিয়া এবং সালাহউদ্দিনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে লন্ডন বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তীব্র হয়েছে। এই বৈঠক ও এর ফলাফল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন গতিশীলতা যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ.আই/এম.আর