আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ১০ জুন, ২০২৫ : বৈশ্বিক তেলের বাজারে সরবরাহের ঘাটতি এবং ওপেক প্লাস জোটের উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা সত্ত্বেও তেলের দামে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ছে না। ওপেক প্লাস, যারা বিশ্বের মোট তেল উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক সরবরাহ করে, জুলাই মাসে দৈনিক ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এটি টানা চতুর্থ মাসের জন্য উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ। তবে, রয়টার্সের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, মে মাসে ওপেকের উৎপাদন সীমিত পরিমাণে বেড়েছে।
ইরাক পূর্বের অতিরিক্ত উৎপাদনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম তেল উত্তোলন করেছে। এছাড়া, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতও অনুমোদিত সীমার তুলনায় কম মাত্রায় উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। এদিকে, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি সংক্রান্ত প্রস্তাবকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে পাল্টা প্রস্তাব দেওয়ার ঘোষণা করেছে। ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পায়, তবে তাদের তেল রপ্তানি বৃদ্ধি বিশ্ববাজারে তেলের দামে নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, তেলের বাজার বর্তমানে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন আলোচনা, ওপেকের উৎপাদন নীতি এবং ইরানের পরিস্থিতি—এই সবকিছু মিলে আগামী দিনগুলোতে ত86তেলের দামে বড় ধরনের ওঠানামা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ.আই/এম.আর