আফ্রিকার মুসলিম প্রধান দেশ মরক্কোতে আগামীকাল শনিবার (৭ জুন ২০২৫) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তবে এবারের ঈদে দেশটিতে পশু কোরবানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ এ বিষয়ে একটি রাজকীয় ডিক্রি জারি করেছেন। এই নির্দেশনার কারণ হিসেবে দেশটিতে চলমান তীব্র খরা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট গৃহপালিত পশুর সংকটকে দায়ী করা হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে মরক্কোতে খরা এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষি ও পশুপালন খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে পশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে কৃষকদের হাতে থাকা পশুগুলো সংরক্ষণের জন্য গত বুধবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইতিপূর্বে মরক্কোতে তিনবার এমন নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। সাবেক রাজা দ্বিতীয় হাসান যুদ্ধ, খরা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কঠোর শর্তের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, সরকার কোনো খাদ্য পণ্যে ভর্তুকি দিতে পারবে না, যার ফলে কোরবানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
বর্তমান রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ ঘোষণা করেছেন যে, তিনি সমগ্র মরক্কোবাসীর পক্ষ থেকে কোরবানি দেবেন। তবে এই রাজকীয় ডিক্রি জনগণ কতটা মেনে চলবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। দেশটিতে কোরবানি বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পশু বিক্রির স্থানে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। এমনকি একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোরবানির জন্য কেনা ভেড়া জব্দ করছে।