by 
মণিপুর, ৯ জুন ২০২৫: উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরে জাতিগত সহিংসতার কারণে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা রোববার (৮ জুন) ইম্ফালের রাজভবনে একটি উচ্চ-পর্যায়ের নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকের আয়োজন করেন।
এই বৈঠকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা, পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি), অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক (আইনশৃঙ্খলা), আইজিএআর (দক্ষিণ), সিআরপিএফের মহাপরিদর্শকসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ। শনিবার (৭ জুন) রাতে মণিপুর পুলিশ ও জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) মিলিতভাবে আরামবাই তেংগোল নামক মেইতেই গোষ্ঠীর একজন সদস্য কানন মেইতেইকে গ্রেপ্তার করে। এই গ্রেপ্তারের পর ইম্ফাল পশ্চিমের কোয়াকিথেল এলাকায় শত শত বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে পুলিশের কনভয় আটকানোর চেষ্টা করে এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে চায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি চালায়, যার ফলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়।
রাজ্যপাল ভাল্লা বিজেপি, এনপিপি এবং কংগ্রেসের ২৫ জন বিধায়কের একটি প্রতিনিধিদলের সাথেও সাক্ষাৎ করেন। বিধায়করা রাজ্যের অস্থির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যপালকে অবহিত করেন এবং শান্তি ফিরিয়ে আনতে তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। রাজ্যপাল জানান, শান্তি ও স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বর্তমানে মণিপুরের বিষ্ণুপুর, কাকচিং, থৌবাল, ইম্ফাল পূর্ব এবং ইম্ফাল পশ্চিম জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি রয়েছে। এছাড়া, পাঁচটি জেলায় পাঁচ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। এই নির্দেশনা শনিবার রাতে জারি করা হয়, যখন আরামবাই তেংগোলের সদস্যের গ্রেপ্তারের পর বিক্ষোভ তীব্র হয়।
২০২৩ সালের ৩ মে থেকে মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সহিংসতায় ২৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। আরামবাই তেংগোল, একটি প্রভাবশালী মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী, এই সহিংসতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ.আই/এম.আর
.jpeg)
