আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ১৫ জুন, ২০২৫ : ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে টানা কয়েকদিন ধরে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। গত শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন স্থানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র পাল্টা হামলা শুরু করে। পরে ইসরায়েল ইরানের তেল ও জ্বালানি স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের তেল ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা আরও বাড়লে দেশটি হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা: হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি দিল ইরান
রোববার (১৫ জুন) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল ও জ্বালানি স্থাপনায় আরও বড় ধরনের হামলা চালায়, তাহলে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক সিনা তুসি বলেন, “এটি হতে পারে ইরানের চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়া।”
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরআইএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার ইতোমধ্যেই হরমুজ প্রণালী বন্ধের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। পারস্য উপসাগরে প্রবেশের একমাত্র সমুদ্রপথ হিসেবে এই প্রণালী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য সংস্থা (ইআইএ) জানায়, বিশ্বের মোট তেল চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ এই পথ দিয়ে পরিবাহিত হয়।
সিনা তুসি আরও বলেন, “আমরা এখনো হরমুজ বন্ধের পর্যায়ে পৌঁছাইনি। তবে আজ ইসরায়েল ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে একটি গ্যাসক্ষেত্রে হামলা চালিয়েছে, আর ইরান হাইফায় হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলের কিছু জ্বালানি স্থাপনায় আঘাত করেছে বলে খবর।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই পাল্টা-পাল্টি হামলা অব্যাহত থাকলে পারস্য উপসাগর অঞ্চল থেকে জ্বালানি সরবরাহ হুমকির মুখে পড়তে পারে।”
প্রসঙ্গত, ইরান ও ওমানের মাঝখানে অবস্থিত হরমুজ প্রণালী উপসাগরীয় দেশগুলোর তেল রপ্তানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে দেশটি এই প্রণালী বন্ধের হুমকি দিয়েছিল।
এ.আই/এম.আর