Sunday, June 15, 2025

বাংলায় প্রতিবেদন: ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১৫ জুন ২০২৫ : ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি বেসামরিক সম্পদও ধ্বংস হচ্ছে, যা মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব সম্প্রদায় দুই ভাগে বিভক্ত। সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার, পাকিস্তান, ভেনেজুয়েলাসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলকে সংঘাতের জন্য দায়ী করে শান্তির পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে এই সংঘাতের মূল কারণ হিসেবে দেখছে।

এই সংকট নিরসনে জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য ইরানের সঙ্গে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। রয়টার্সের বরাতে দ্য টাইম অব ইসরায়েল জানিয়েছে, এই তিন দেশ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে ইরানের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল বলেছেন, “আমি আশা করি এটি এখনও সম্ভব। জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন একসঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। আমরা ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনার প্রস্তাব দিচ্ছি।”
মধ্যপ্রাচ্য সফররত ওয়াদেফুল জানিয়েছেন, তিনি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত কমাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “এই সংঘাতের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত, যাতে ইরান এই অঞ্চল, ইসরায়েল বা ইউরোপের জন্য হুমকি না হয়।” তবে, ইরান পূর্বে এ ধরনের গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাত ১৩ জুন ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে হামলার মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে আঘাত হানা হয়, যাতে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এর জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের এই প্রস্তাব উত্তেজনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এ.আই/এম.আর

Share This Post

শেয়ার করুন

Author:

Note For Readers: The CEO handles all legal and staff issues. Claiming human help before the first hearing isn't part of our rules. Our system uses humans and AI, including freelance journalists, editors, and reporters. The CEO can confirm if your issue involves a person or AI.