আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ০১ জুন ২০২৫ : ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে একটি বৈঠক আয়োজনে বাধা দেওয়ায় সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে ‘উগ্রবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রোববার (১ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েল তার এই আচরণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে তারা শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহী নয়, বরং বাধা সৃষ্টিতে বিশ্বাসী।
সৌদি আরব, মিসর, কাতার, জর্ডান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে রামাল্লায় বৈঠক করার কথা ছিল। তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল তাদের হেলিকপ্টারকে পশ্চিমতীরের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় বৈঠকটি বাতিল হয়। ফলে প্রতিনিধিদল জর্ডানের আম্মানে বিকল্প বৈঠক করে।
১৯৬৭ সালের পর এটিই প্রথম যে, কোনো সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পশ্চিমতীর সফর বাতিল হলো। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানান, আরব প্রতিনিধিদল স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বিষয়ে আলোচনার জন্য যাচ্ছিল বলেই তাদের পথে বাধা দেওয়া হয়েছে।
প্রিন্স ফয়সাল বলেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ শান্তি প্রক্রিয়ার পরিবর্তে দমননীতির প্রতি তাদের অঙ্গীকার দেখায়। তিনি জানান, এই ধরনের বাধা সত্ত্বেও সৌদি আরব তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে এবং সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আন্তর্জাতিক মহলেও ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
এ.আই/এম.আর