সিলেট, ৩ জুন ২০২৫: সিলেট বিভাগের অন্তত পাঁচটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং মৌলভীবাজার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, সিলেট জেলার সুরমা ও কুশিয়ারা নদী এবং মৌলভীবাজার জেলার মনু নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং বিপৎসীমার উপরে থাকতে পারে। এছাড়া, সারিগোয়াইন ও যাদুকাটা নদীর পানিও বাড়তে পারে এবং বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং নেত্রকোনা জেলার মনু, খোয়াই, সোমেশ্বরী ও ধলাই নদীর পানি হ্রাস পেতে পারে। এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।
এদিকে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী দুই দিন পর্যন্ত এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, তবে পানি বিপৎসীমার নিচে থাকবে। তৃতীয় দিন থেকে এই নদীগুলোর পানি স্থিতিশীল হতে পারে এবং চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে হ্রাস পেতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় কমতে পারে, তবে পরবর্তী দুই দিনে আবার বাড়তে পারে। তিস্তা নদী সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি আগামী তিন দিনে হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচে থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে, তবে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে, কিন্তু বিপৎসীমার নিচে থাকবে।
পানির প্রবল স্রোতে বাঁধের সাথে অনেক ঘরবাড়িও ভেঙে গেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে।
এ.আই/এম.আর